Christmas Day: বড়দিনের আনন্দে গা ভাসিয়ে, পর্যটকদের এখন গন্তব্য পূর্ব থেকে পশ্চিম... উত্তর থেকে দক্ষিণ
বড়দিনের সকালে আলিপুর চিড়িয়াখানা অনেকটাই ছিল ফাঁকা। ভিড়ের চাপে অন্যান্যবার দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবার হাতে গোণা কয়েকজন সকালের দিকে চিড়িয়াখানায় আসেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কিছুটা ভিড় হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে অনেকে এসেছিলেন।
সায়েন্স সিটিতে এদিন করোনা বিধি মেনে দর্শকদের ঢুকতে দেওয়া হয়। সকালের দিকে তেমন ভিড় ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় কিছুটা বাড়ে। টাইম মেশিনের কাছে ছিল উত্সাহীদের ভিড়।
করোনা আবহে এবার অনেকটাই ফাঁকা ছিল নিক্কো পার্ক। এদিন সকালে একটিমাত্র কাউন্টার খোলা হয়। সেখানেও অন্যবারের মতো লম্বা লাইন হয়নি। পার্কের ভিতরে ছোটদের খেলার জায়গায় ছিল না পরিচিত কলরোল।
সকালের দিকে ঠান্ডায় একটু জবুথবু। বেলা বাড়তে শেষ ডিসেম্বরের শীতের আমেজ গায়ে মেখে ধীরেসুস্থে পথে বেরিয়েছে শহর। শহরবাসীর উত্সব উদযাপনে পুরোপুরি বেড়ি পরাতে পারেনি করোনা।
আগের বছরগুলোর মতো ইকো পার্ক যে মাথায় মাথায় ছয়লাপ, তা নয়। তবে শহরের অন্য দর্শনীয় জায়গার তুলনায় এদিন ইকো পার্কে পর্যটকের সংখ্যা কম ছিল না।
বড়দিন থেকে বর্ষবরণের এতদিনের চেনা ছবি নিউ নর্মালে একেবারেই অন্যরকম। শহরের দর্শনীয় স্থানগুলিতে করোনা বিধি মেনে চলার কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে আগেই। শুক্রবার উত্সবের আবহেও মেপে পা ফেলেছেন শহরবাসী।
অরণ্যের সৌন্দর্য উপভোগের পাশপাশি, অনেকেরই গন্তব্য ছিল ঝাড়গ্রাম মিনি জু।
বড়দিনের সকালে অনেকেরই গন্তব্য পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড়। তবে অন্যান্য বছরের থেকে ভিড় অনেকটাই কম।
বিগত বছরগুলিতে ২৫ ডিসেম্বর ভিড়ে ঠাসা থাকে মুর্শিদাবাদ। হাজারদুয়ারির মাঠে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এবার বড়দিনে বন্ধ হাজারদুয়ারির দ্বার। ফাঁকা প্যালেস চত্বর- হাতে গোনা ক’জন পর্যটক। বন্ধ গেটের বাইরে থেকেই চাক্ষুস করলেন নবাবী নিদর্শন।
কিন্তু, বড়দিনের আনন্দে গা ভাসিয়ে, পর্যটকদের এখন গন্তব্য পূর্ব থেকে পশ্চিম... উত্তর থেকে দক্ষিণ... পর্যটকদের পেয়ে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির, গোপীবল্লভপুর, জামবনি, চিলকিগড়েও ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা।
রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু। করোনা সংক্রমণ রুখতে, গত মার্চ মাসে এক এক করে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। এরপর ট্রেনচালু হলেও, পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে, সেভাবে পর্যটক আসছিল না।
বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়েও ভিড় জমিয়েছেন কিছু পর্যটক।
উৎসবের মেজাজ মুকুটমনিপুরেও। চলছে পিকনিক। জলাধারে নৌকাভ্রমণের আগে প্রত্যেকের জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -