Migaloo M5: টানা একমাস জলের নীচে থাকতে পারে, সুইমিংপুল, সিনেমা হলও রয়েছে, অনন্য সৃষ্টি এই প্রমোদতরী
বিলাসিতার সব ব্যবস্থা রয়েছে। Migaloo M5 নামে যদিও প্রমোদতরী। কিন্তু জলে ডুব দিয়ে সাবমেরিনও হয়ে যেতে পারে নিমেষে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরোমাঞ্চের খোঁজে বর্তমানে শুধু পাহাড়-পর্বতই চড়েন না মানুষ। সাগর-মহাসাগরের নীচের জগৎ দেখার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে, তার জন্য মোটা টাকা খরচেও আপত্তি নেই তাঁদের।
পকেটভারী এবং রোমাঞ্চপ্রেমী সেই সব মানুষের কথা ভেবেই Migaloo M5 সাবমার্সিবল সুপারইয়টের নির্মাণ। অস্ট্রিয়ার সংস্থা Migaloo এই প্রমোদতরীর আবিষ্কারক। বহু বছরের পরিশ্রমের ফল Migaloo M5.
জলের নীচে, ২৫০ মিটার গভীরতায় পৌঁছতে সক্ষম Migaloo M5. ওই অবস্থায় একটানা চার সপ্তাহ সাগর-মহাসাগরের নীচে ঘুরে বেড়াতে পারে।
Migaloo M5-এর পাল্লা ৯৩০০ মাইল। ২০ Knots গতিবেগে ছুটতে পারে জলের উপরে। জলের নীচে এর গতিবেগ ১২ Knots.
সাবমার্সিবল প্রমোদতরীর দৈর্ঘ্য ১৬৫.৮ মিটার, প্রস্থ ২৩ মিটার। ২০ জন অতিথি এবং ৪০ জন জাহাজকর্মী একসঙ্গে যাত্রা করতে পারেন।
পরিস্থিতি অনুযায়ী Migaloo M5-এর অন্দরসজ্জায় বদল আনা যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। তবে সাধারণ অবস্থায়, এই প্রমোদতরীর ডাইনিং রুমে একসঙ্গে ৩৬ জন বসে আহার সারতে পারেন।
প্রমোদতরীর দেওয়াল তৈরি হয়েছে প্যানোরামিক কাচ দিয়ে। ভিতরে রয়েছে ওয়াইনের ভাঁড়ার, সিনেমা হলও। রয়েছে সুইমিং পুল, জাকুজি এমনকি একটি হেলিপ্যাডও।
কোটিপতিদের জন্যই এই প্রমোদতরী। নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁদের সবরকম চাহিদার জোগান দিতেও প্রস্তুত জাহাজ সংস্থা।
এমনিতে দাম রাখা হয়েছে ২০০ কোটি ডলার। তবে ভিতরে যেমন যেমন নকশা এবং অন্দরসজ্জায় বদল আনা হবে, ততই বাড়বে দাম। ধনকুবেরদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে এই Migaloo M5 প্রমোদতরী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -