Countries With no Constitution: লিখিত কোনও সংবিধানই নেই, পৃথিবীর এই দেশগুলিতে...

General Knowledge: এক নয়, একাধিক দেশ চলছে সংবিধান ছাড়াই। ছবি: ফ্রিপিক।

ছবি: ফ্রিপিক।

1/10
গণতান্ত্রিক দেশের ভিত্তি সংবিধান। সেই সংবিধান অনুযায়ীই শাসনকার্য পরিচালিত হয়। দেশের আইন-কানুন তৈরি হয় সেই মতো।
2/10
কিন্তু পৃথিবীতে এমন একাধিক দেশ রয়েছে যাদের কোনও লিখিত সংবিধান নেই। কোনও ছোটখাটো দেশ নয়, তাবড় শক্তিধর দেশ রয়েছে এই তালিকায়।
3/10
ব্রিটেনে ‘অলিখিত সংবিধান’ রয়েছে। অর্থাৎ অন্য দেশের মতো বিধি-নিয়ম সম্বলিত কোনও নির্দিষ্ট নথি নেই। বরং ব্রিটেনে শাসনকার্য পরিচালিত হয় সংসদে চালু আইন, আদালতের নির্দেশ এবং নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থানের মাধ্যমে।
4/10
নিউজিল্যান্ডেরও লিখিত কোনও সংবিধান নেই। ১৯৮৬ সালের সাংবিধানিক আইন-সহ কিছু নথির ভিত্তিতে সেখানে শাসনকার্য পরিচালিত হয়।
5/10
লিখিত সংবিধান নেই সৌদি আরবেরও। ‘কোরানে’র আদর্শকে অবলম্বন করে, পয়গম্বর মহম্মদের দেখানো পথেই সেখানে সবকিছু পরিচালিত হয়।
6/10
লিখিত সংবিধান নেই ইজরায়েলেরও। ১৯৪৮ সালে দেশ স্থাপনের পাঁচ মাসের পর সংবিধান তৈরির কথা থাকলেও, সেই নিয়ে ঐক্যমত্য তৈরি হয়নি। ফলে সংবিধান ছাড়াই ইজরায়েল টিকে আছে।
7/10
কানাডার সংবিধান থাকলেও, সেটি লিখিত আবার অলিখিতও। কারণ ১৮৬৭ সালের বিধিনিয়মের কিছু লিখিত সংস্করণ থাকলেও, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী, অলিখিত নিয়মকানুন অনুযায়ীই দেশ চলে।
8/10
সংবিধান থাকা না থাকা নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। এর কিছু সুফল রয়েছে যেমন, তেমনই কুফলও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট সংবিধান না থাকলে নাগরিকদের সুবিধা মতো আইন-কানুন তৈরি করা এবং তা পাল্টানো সহজ হয়। সেক্ষেত্রে ঝুটঝামেলা থাকে না।
9/10
সংবিধানের নামে সবকিছুকে বেঁধে ফেলার পক্ষপাতী নন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, সময়ের সঙ্গে সমাজ ও সংসারের অগ্রগতি হবে যেমন যেমন, সেই মতো আপনাআপনিই মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। তার জন্য লিখিত নিদানের প্রয়োজন নেই।
10/10
কিন্তু সংবিধান না থাকলে দেশের সমাস-সংসারে একরকমের অনিশ্চয়তা তৈরি হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে পরিষ্কার ভাবে আইন-কানুন লেখা না থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটে। বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা থাকে না।
Sponsored Links by Taboola