Tripura Floods: তিন দশকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়, লাগাতার বাড়ছে হতাহত, বানভাসি ত্রিপুরায় আরও দুর্যোগের ইঙ্গিত
বানভাসি ত্রিপুরায় সঙ্কট কাটার কোনও লক্ষণই নেই। গত তিন দশকে এই প্রথম বর্ষা এত ভয়াবহতা ডেকে আনল সেখানে। নয় নয় করে ২৪ জন মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশুক্রবার সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও, শহর থেকে গ্রাম, যেদিকে চোখ যায়, এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্যের সব নদীই উপচে পড়ছে। রাজ্যের প্রধান নদী গোমতীর জলও বিপদসীমার উপরে বইছে।
গোমতী এবং সেপাহিজলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে গোমতী। শুক্রবার রাত পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী, গোমতীর জলস্তর ২২.৩০ মিটারে রয়েছে, যা বিপদসীমা হিসেবে গন্য ২২ মিটারের ঊর্ধ্বে।
এখনও পর্যন্ত বানভাসি এলাকা থেকে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৫ হাজার ৫০০ মানুষ। রাজ্যের আটটি জেলায় ৫৫৮টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে।
বন্যার জেরে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার থেকে লাগাতার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার রাতে যদিও কোথাও বৃষ্টি থেমে যায়, কোথাও আবার হালকা বৃষ্টি হয়। কিন্তু জল নামার লক্ষণ নেই এখনও পর্যন্ত।
ধস নেমে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মহিলা, শিশু হয় ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এখনও পর্যন্ত। দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী, খোয়াই জেলায় হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বেশ কয়েক জন নিখোঁজও রয়েছেন।
শুক্রবার হেলিকপ্টারে চেপে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। উদয়পুর, অমরপুর, কারবুকের মতো এলাকা গোমতীর জলের নীচে চলে গিয়েছে। একাধিক ত্রাণশিবিরেও যান মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে ত্রিপুরার জন্য ৪০ কোটি টাকা অগ্রিম বরাদ্দ হয়েছে।
এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি দল, সেনার তিনটি কলাম, বায়ুসেনার চারটি হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ত্রিপুরায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। ফলে প্রমাদ গুনছেন সকলেই।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে এবং ঝাড়খণ্ডের উত্তর-পূর্বে নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপটি ঝাড়খণ্ডের দিকে আরও সরে যাবে। শুধু তাই নয়, বঙ্গোপসারের উত্তরে, সমুদ্র থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উপরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -