Nazca Line: মরুভূমিতে ভিনগ্রহীদের রানওয়ে? প্রাচীন রহস্য আজও ঘিরে রয়েছে এই এলাকাটিকে
পল্লবী দে, কলকাতা: মরুভূমি মানেই তা জনমানবহীন। প্রাণের স্পর্শটুকুও পাওয়া যায় না সেখানে৷ যতদূর তাকানো যায়, কেবল শুকনো মরুপ্রান্তর৷ অথচ সেই মরুতটেই লুকিয়ে হাজার হাজার বছরের প্রাচীন রহস্য। যার সঠিক উদঘাটন হয়নি একুশ শতকের বিশ্বে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপেরুর রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নাজকা। প্রায় ৮০ কিলোমিটার লম্বা ও ৫০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাটি। যদিও এটিকে মরুভূমি না বলে মালভূমি বলাই শ্রেয়। এখানেই রয়েছে বিশ্বের বিস্ময় নাজকা রেখা।
কিছু অতিকায় জ্যামিতিক নকশা রয়েছে এখানে। যেন কোন শিল্পী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পাথুরে বুকে এঁকে রেখেছে কোনো এক প্রাচীন সংকেত। যার উত্তর আজও অজানা।
১৯২৭ সালে পেরুর এক আর্কিওলজিস্ট তোরিবিও মেহিয়া কেসপ প্রথম দেখতে পান এই বিষয়টি। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আমেরিকান ঐতিহাসিক পল কসক, জার্মান গণিতজ্ঞ ও আর্কিওলজিস্ট মারিয়া রাইখ নাজকা লাইন নিয়ে শুরু করেন গবেষণা।
সমতলে থেকে এই লাইন বোঝা অসম্ভব। তাই বিমানে করে এই এলাকায় আসতেই দেখা যায় এই রেখা দিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিরাট বিরাট জ্যামিতিক নকশা, কোথাও বা তৈরি হয়েছে ফুল, গাছ, বিভিন্ন প্রাণী, এমনকি মানুষের প্রতিকৃতিও।
রয়েছে হামিংবার্ড, মাকড়শা, হনুমান এবং মানুষের ছবিও। কোন কোন চিত্র প্রায় ২০০ মিটার অঞ্চল জুড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এগুলো তৈরি করা হয়েছে প্রায় আজ থেকে তিন হাজারেরও বেশি বছর আগে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কারা আঁকল এই ছবিগুলি? নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন এটি ইনকা সভ্যতার সময় আঁকা। কেউ বলেন, ভিনগ্রহীদের তৈরি। কিন্তু এত বছর আগে তৈরি এই লাইন আজও একইভাবে রয়েছে কীভাবে? এই প্রশ্নই বিস্ময় জাগিয়ে তুলেছে।
পল কসকের কথায়, নাজকা লাইনের সঙ্গে জ্যোতির্বিদ্যার এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নাজকা রেখাগুলো নাকি তারা মন্ডলের প্রতিরূপ। আকাশ থেকে ঈশ্বরের দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর জন্যেই এই রেখা।
সুইস লেখক এরিক ফন দানিকেনের তত্ত্বটি যদিও বেশ জনপ্রিয়। ১৯৬৪ সালে তাঁর লেখা বই ‘চ্যারিয়টস অফ গড’-এ তিনি জানান যে, প্রাচীনকালে ভিন গ্রহের প্রাণীরা নাকি পৃথিবীতে আসত। এই লাইনগুলো ছিল তাদের স্পেসশিপের রানওয়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত বিশাল এলাকায় এই শ্রমসাধ্য কাজ অল্প দিনে হয়নি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই বিশালাকার রেখাগুলো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে সে উত্তর আজও অজানা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -