Europe Name Origin: ঢেলে সাজিয়েছে প্রকৃতি, কিন্তু ইউরোপের নামকরণ হল কী করে?
ইউরোপ বলতেই ছবির মতো সাজানো দেশের কথা মাথায় আসে। বরফে ঢাকা পাহাড়-পর্বত, সবুজের মাঝে সর্পিল রাস্তা, চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বেরনো কটেজ, ইউরোপ সম্পর্কে এমনই ধারণা রয়েছে আমাদের। এক্ষেত্রে হিন্দি সিনেমার অবদানও কম নয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু ইউরোপ তো আর একটি মাত্র দেশ নয়, নয় নয় করে ৪০টি দেশকে নিয়ে গড়ে উঠেছে সুবিশাল মহাদেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ইউরোপে একবার অন্তত পা রাখার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু এই ইউরোপ নামটি কোথা থেকে এল, তা খুব কম জনই জানেন।
প্রাচীন গ্রিকরা পৃথিবীকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছিলেন-ইউরোপ, এশিয়া এবং লিবিয়া। লিবিয়া বলতে বর্তমান আফ্রিকার উত্তর অংশকে বোঝানো হতো। দ্বিতীয় শতকে টলেমি যে মানচিত্র প্রকাশ করেছিলেন, তাতেও এই তিনটি ভাগ চোখে পড়ে।
অর্থাৎ ইউরোপ নিয়ে ভাবনা বেশ প্রাচীন। কিন্তু এই নাম এল কোথা থেকে, তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে। গ্রিক ভাষা থেকেই নামটির উৎপত্তি বলে মত ইতিহাসবিদদের একাংশের।
প্রাচীন গ্রিক ভাষায় Eurys শব্দের অর্থ বিস্তৃত। Ops শব্দের অর্থ মুখমণ্ডল অথবা চোখ। গ্রিক নাবিকরা যে বিস্তৃত উপকূলরেখা চাক্ষুষ করেন, তার নিরিখেই তাই ইউরোপ নামকরণ হয় বলে মত ইতিহাসবিদদের।
বিভিন্ন লেখালেখিতে দেখা গিয়েছে, ভ্রমণকারীরা যখন ইউরোপে পৌঁছন, উত্তরে পাহাড়-পর্বত, নদী অববাহিকা, অরণ্য, তৃণভূমি দেখে চমকে গিয়েছিলেন। কারণ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের তুলনায় সেগুলি ছিল অনেক গুণ বড়। পাশাপাশি আবহাওয়ার তারতম্যও ছিল।
ইউরোপ নামটি প্রাচীন মেসোপটেমিয়া থেকেও এসে থাকতে পারে বলেও দাবি করেন ইতিহাসবিদদের কেউ কেউ। প্রাচীন আক্কাদিয় ভাষায় Erebu শব্দের অর্থ ছিল সূর্যাস্ত।
পশ্চিমে যেহেতু সূর্য অস্ত যায়, সেই নিরেখেই মেসোপটেমিয়া থেকে ইউরোপের এই নামকরণ বলে যুক্তি উঠে আসে।
পূর্বদিকে যেহেতু সূর্যোদয় হয়, তাই প্রাচীন আক্কাদীয় ভাষায় Asu শব্দের অর্থ সূর্যোদয়। সেই থেকে এশিয়া নামটিরও আবির্ভাব বলে মনে করা হয়।
আবার গ্রিক দেবী ইউরোপার নামানুসারেও বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে বলেও প্রচলিত রয়েছে। তবে ইউরোপের নামকরণ ঠিক কোথা থেকে, তা নিয়ে সুনিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। বরং একাধিক তত্ত্বই উঠে এসেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -