Emergency Helpline Number 112: ৯১১ বা ৯৯৯ না হয়ে, ভারতের আপদকালীন হেল্পলাইন নম্বর ১১২ যে কারণে
জলে-জঙ্গলও বাদ যায় না। দেশের যে কোনও জায়গায় বিপদে পড়লে একফোনেই মিলতে পারে সাহায্য, তার জন্য আপদকালীন হেল্পলাইন নম্বর ১১২ চালু রয়েছে। -ফাইল চিত্র।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভারতের আপদকালীন নম্বর হিসেবে ১১২ ফোনে সেভ করে রাখেন অনেকেই। ২০১৫ সালে গোটা দেশের একটি মাত্র আপদকালীন নম্বর হিসেবে ১১২-কে চয়ন করে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI). কিন্তু বেছে বেছে ১১২-ই কেন দেশের আপদকালীন নম্বর নির্বাচিত হল, জানেন কি? নেপথ্যে রেছে দীর্ঘ ইতিহাস। -ফাইল চিত্র।
১৯৭২ সালে ইউরোপিয়ান কনফারেন্স অফ পোস্টাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রথমে ১১২-কে আপদকালীন নম্বর হিসেবে চয়ন করে। সেই সময় আঙুল ঘুরিয়ে ডায়াল করতে হয় এমন ফোন ছিল। ওই ফোনে আমেরিকার মতো ৯১১ বা ব্রিটেনের মতো ৯৯৯ ডায়াল করতে বেশি আঙুল ঘোরাতে হতো। সেই তুলনায় ১১২ ডায়াল করা সহজ ছিল। ছবি: পিক্সাবে।
আঙুল ঘুরিয়ে নম্বর ডায়াল করার ফোন তালাবন্ধ করার চলও ছিল সেই সময়, যাতে অপব্যবহার রোখা যায়। কিন্তু ওই অবস্থাতেও ১১২ ডায়াল করা সম্ভব ছিল। সেই জন্যও ১১২ নম্বরটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ছবি: পিক্সাবে।
বর্তমান যুগে মোবাইলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিপ্যাডে ১০২ ডায়াল করতে যতটা সময় লাগে, তার চেয়ে ১১২ ডায়াল করা সহজ। পাশাপাশি, ১০২ আবার জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার নম্বর। ছবি: পিক্সাবে।
ব্রিটেনে যেমন ৯৯৯ আপদকালীন নম্বর, ভারতের আপদকালীন নম্বর ১১১ বা ২২২ হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এক্ষেত্রে যে যুক্তি উঠে এসেছে, তা হল, ভুল করে হাত লেগে বা চাপ পড়ে ১১১, ২২২ ডায়াল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই তুলনায় ভুল করে ১১২ ডায়াল হওয়ার সম্ভাবনা কম। ছবি: পিক্সাবে।
আপদকালীন নম্বর বাছার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুনও রয়েছে। ২০০৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ১১২ এবং ৯১১-র মধ্যে যে কোনও একটিকে আপদকালীন নম্বর হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যেহেতু ১১২ ব্যবহার করে, তাই অধিকাংশ দেশই ১১২ ব্যবহার করতে শুরু করে। ছবি: ফ্রিপিক।
আমেরিকার মূল আপদকালীন নম্বর ৯১১ হলেও, সেকেন্ডারি নম্বর হল ১১২। অর্থাৎ ১১২ ডায়াল করলেও আপনা আপনি ৯১১-তে ফোন চলে যাবে। ছবি: ফ্রিপিক।
ভারতে এমন আপদকালীন নম্বর রয়েছে বেশ কয়েকটি। পুলিশি সাহায্যের প্রয়োজন পড়লে ১০০ ডায়াল করতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে ১০১ ডায়াল করা যায়। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য ১০২ এবং বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ১০৮। মহিলাদের জন্য আপদকালীন নম্বর ১০৯১ চালু রয়েছে। ছবি: ফ্রিপিক।
পাশাপাশি, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তরফেও একাধিক আপদকালীন নম্বর চালু করা হয়েছে। ছবি: ফ্রিপিক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -