Afghanistan Earthquake: কবরের পর কবর খোঁড়া চলছে, মৃতদেহ আসায় বিরতি নেই, ভূমিকম্পে ক্ষতবিক্ষত আফগানিস্তান
কবরের পর কবর খুঁড়ে চলেছেন। কিন্তু দেহ আসা বন্ধ হচ্ছে না। ভূমিকম্পের পর এমনই অবস্থা দেশে। জানালেন তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী মহম্মদ আমিন হুজাইফা
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভূমিকম্পের পর একনাগাড়ে বৃষ্টি। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে বহু মানুষ। পরিস্থিতি অত্য়ন্ত সঙ্কটজনক আফগানিস্তানে।
এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০০ মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে আফগানিস্তান থেকে। আহত হয়েছেন ৬০০-র বেশি মানুষ। মৃত্যুসংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ। খোস্ত থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।
সেই সময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেই পারেননি বহু মানুষ।
আফগানিস্তানের যে অংশ ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে, সেখানে মূলত দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষের বাস। ফলে তারা যে বাড়িগুলিতে থাকেন, সেগুলির কোনওটিরই ভিত মজবুত নয়। কোনও রকমে ইট-পাথর সাজিয়ে, মাথায় ছাউনি চাপিয়ে বসবাস করেন তাঁরা। তাতেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে বলে খবর।
দীর্ঘকালীন যুদ্ধের ক্ষত দগদগ করছে। ফলে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোই নেই আফগানিস্তানে। উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য হাতেগোনা কিছু বিমান এবং হেলিকপ্টার রয়েছে।
তালিবান নেতৃত্বের তরফে দেশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই এগিয়ে আসার আর্জি জানানো হয়েছে। পাকতিকা জেলার গায়ান এবং বরমালই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
গায়ান গ্রামটি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানের ৫০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মঙ্গলবার কম্পন অনুভূত হয়। ভারত এবং পাকিস্তানেও তা অনুভূত হয়েছে। তবে ভারত এবং পাকিস্তানে হতাহতের কোনও খবর নেই।
আফগানিস্তান এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। রিখটার স্কেলে মঙ্গলবার রাতের ভূমিকম্পরে তীব্রতা ছিল ৬.১।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূগর্ভের ৫১ কিলোমিটার গভীরে। গত ১০ বছরে আফগানিস্তানে শুধুমাত্র ভূমিকম্পেই ৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। বছরে গড়ে ৫৬০ জন মানুষ সেখানে ভূমিকম্পে মারা যান বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -