Pakistan Politics: গুলি খেয়েও প্রাণে বাঁচলেন ইমরান, সেই ‘সৌভাগ্য’ হয়নি অনেকেরই, পাক-রাজনীতি বরাবরই রক্তক্ষয়ী
লিয়াকৎ আলি খান থেকে বেনজির ভুট্টো। বার বার নাশকতার বলি হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা। এ বার পদযাত্রায় বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকপালজোরে যদিও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ইমরান। তাঁর দুই পায়ে গুলি লেগছে চারটি। হাঁটার ক্ষমতা নেই। পাঁজকোলা করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এই আবহেই ফিরে দেখা পাকিস্তানের রক্তক্ষয়ী রাজনীতি। প্রাণে বাঁচলেও, তাঁর দু’পায়েই গুলি লেগেছে।
ইমরান খান কপালজোরে গুলি খেয়ে প্রাণে বাঁচলেও, তাঁর পূর্বসূরি, পাকিস্তানের অনেক নেতার সেই সৌভাগ্য হয়নি।
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলি খানের প্রাণ গিয়েছিল গুলিতেই। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতার দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার নিয়েছিলেন লিয়াকৎ। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। মোট চার বছর ৬৩ দিন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন নিজে। খান আব্দুল গফ্ফার খানের ভাই, আব্দুল জব্বার খানও খুন হন। ১৯৫৮ সালের ৯ মে লাহৌরে ছেলের বাড়িতে খুন হন তিনি।
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর আলি ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেয় জেনারেল জিয়াউল হকের সামরিক সরকার। বিচারবিভাগীয় হত্যা হিসেবেই এই ঘটনাকে দেখা হয়। দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জুলফিকর।
এর নয় বছর পর, ১৯৮৮ সালের ১৭ অগাস্ট রহস্যজনক ভাবে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জিয়াউলের। পরিকল্পনা করেই তাঁকে খুন করা হয় বলে আজও শোনা যায়। বেনজির ভুট্টোর ভাই মোর্তাজা ভুট্টো তার নেপথ্যে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কিছুই প্রমাণ হয়নি।
২০০৭ সালের ২৭ ডিসম্বর খুন হন জুলফিকর-কন্যা বেনজিরও। দুই দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কর্মসূচিতে বেরিয়ে গাড়ির মধ্যে থেকে মাথা বের করে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন বেনজির। সেই সময়ই গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। এই বছরই তার আগে একটি বিস্ফোরণে কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছিলেন বেনজির। তালিবানের সঙ্গে মিলে তৎকালীন সরকার বেনজিরকে হত্যা করিয়ে থাকতে পারে বলে পরবর্তী কালে মন্তব্য় করেন জেনারেল পারভেজ মুশারফ।
কয়েকমাস আগে লন্ডনে হামলার মুখে পড়েন আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দফতরের বাইরে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে নওয়াজের দেহরক্ষী আহত হন।
সম্প্রতি ইমরানও জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে মেরে ফেলার ছক কষা হচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর আগে একটি সাক্ষাৎকারে ইমরান জানান, শুধু তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাই নেই। তাঁর চরিত্রও হনন করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার সেই আশঙ্কাই সত্য বলে প্রমাণিত হল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -