International Literacy Day: ৭৭ কোটির বেশি মানুষ এখনও নিরক্ষর, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে আলোয় ফেরার অঙ্গীকার
‘যেমন জলের দ্বারাই জলাশয় পূর্ণ হয়, শিখার দ্বারাই শিখা জ্বলিয়া উঠে, প্রাণের দ্বারাই প্রাণ সঞ্চারিত হইয়া থাকে’, কত বছর আগে লিখে গিয়েছিলেন কবি। তার পর আধুনিকীকরণ থেকে ভারতের ডিজিটালকরণ ঘটে গেলেও, অক্ষরপাঠ থেকে আজও বঞ্চিত দেশের একটি বড় অংশের মানুষ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appনিরক্ষরমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতেই প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে পালন করে ইউনাইটেড নেশনসনন এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো)।
১৯৬৭ সাল থেকে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। শিক্ষা এবং অক্ষরের সঙ্গে পরিচিতি মানবাধিকার এবং আত্মমর্যাদার সঙ্গে জড়িয়ে বলে মত ইউনেস্কোর।
এ বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের থিম হল সাক্ষরতার স্থান-কালের প্রসার। শিক্ষার অধিকার সকলের, এই নীতিকেই সামনে রেখেছে তারা।
তবে করোনা পরবর্তী কালে কমপক্ষে ২ কোটি ৪০ লক্ষ পড়ুয়া আর স্কুলে ফেরেনি বলে উঠে এসেছে পরিসংখ্যানে। এর মধ্যে ১ কোটি ১১ লক্ষ পড়ুয়াই মেয়ে।
নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৬৫ সালে তেহরানে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন হয়। সেই সময় চরম দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং বেকারত্বের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল গোটা বিশ্ব। সেখানেই পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
ইউনেস্কোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন প্রকল্প গৃহীত হলেও, গোটা বিশ্বে এখনও নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা ৭৭ কোটির বেশি। এর মধ্যে অধিকাংশই মহিলা, যাঁরা এখনও পড়তে, লিখতে পারেন না।
শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলার বক্তব্য ছিল, ‘‘শিক্ষাই হল সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তার দ্বারা পাল্টে দেওয়া সম্ভব গোটা পৃথিবী।’’
ছোট্ট বয়সে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বুঝেছিলেন মালালা ইউসফজাই। তার জন্য তাঁর শরীরে বুলেট ভরে দিয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু নিজের আদর্শ থেকে সরেননি মালালা। তাঁর কথায়, ‘‘একটি বই, একটি কলম, একটি শিশু এবং একজন শিক্ষকই পারেন পৃথিবীকে পাল্টে দিতে।’’
ফ্রেডরিক ডগলাসের কথায়, ‘‘একবার পড়তে শেখার অর্থ, সারাজীবনের জন্য শৃঙ্খলমুক্ত হওয়া।’’ কোপি আন্নান বলেছিলেন, ‘‘নিরাশা এবং আশার মধ্যেকার সেতুই হল শিক্ষা।’’
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -