Human Trafficking Awareness Day: নিভৃতে কাঁদে মানবতা, দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা তিন কোটি জীবন
বাক স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা, যৌনতার স্বাধীনতা—বিশ্বায়নের যুগে স্বাধীনতার নিত্যনতুন শব্দবন্ধ যোগ হয়ে চলেছে অভিধানে। কিন্তু আদৌ কি দাসত্বের শৃঙ্খল কাটিয়ে উঠতে পেরেছি আমরা! বিশ্ব জুড়ে মানব পাচারচক্রের সক্রিয়তা এবং তার ফলস্বরূপ দাসত্বের বাজারে বাঁধা পড়া মানুষের পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে প্রতি বছর মানবপাচার চক্রের শিকার হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়েন। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ দাসত্বের জীবন কাটাচ্ছেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে বর্তমান পরিসংখ্যানের জুড়ি মেলা ভার।
এই দাসত্ব থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করতেই ১১ জানুয়ারি দিনটিকে মানবপাচার সচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাই বছরের প্রথম মাসটিকে দাসত্ব প্রতিরোধের কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেন। তার পর থেকে প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্টই তা পালন করে আসছেন। এ বারে জো বাইডেনও জানিয়েছেন, সব রকমের দাসত্ব থেকে মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
দাসত্বের যে সংজ্ঞা বেঁধে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ, তার আওতায় প্রতিনিয়ত শারীরিক এবং যৌন নিগ্রহের শিকার, হুমকির শিকার, মানসিক অত্যাচারের শিকার কাজের ক্ষেত্রে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়া এবং হেনস্থার শিকার হওয়া, এ সবই দাসত্বের মধ্যে পড়ে। আর তা থেকে কোটি কোটি ডলার রোজগার কের ফুলেফেঁপে উঠছে মানবপাচার চক্রগুলি।
নিজের দেশে অথবা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অন্য দেশেও দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়েন মানুষ। বিনা পারিশ্রমিকে শ্রমদান, পর্যাপ্ত বেতন না পাওয়া, হিংসা এবং অমানবিক আচরণ সয়ে বেঁচে থাকা শ্রমদাসত্ব।
প্রতি বছর হাজার হাজার মেয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার হয়ে যান। আবার নিজের দেশেই যৌনপল্লীতে বিক্রি হয়ে যেতে হয় তাঁদের। এই যৌনদাসত্বের ব্যবসা থেকে প্রতি বছর পাচার চক্র প্রায় ৯৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে। গোটা বিশ্বে যৌন শোষণের শিকার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ।
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, মহিলা বিশেষ করে কিশোরী মেয়েরাই মানব পাচারকারীদের মূল নিশানা। যৌনপল্লীতে তাঁদের বিক্রি করে রোজগার করে পাচারকারীরা। আবার যৌনদাসী হিসেবেও মেয়েদেরকে খাটানো হয়।
একই ভাবে পেটের টানে রোজগারের রাস্তা খুঁজতে গিয়ে শোষণের শিকার প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ। ন্যায্য পারিশ্রমিক তো মেলেই না, বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করে যেতে হয় তাঁদের। অনেক ক্ষেত্রে কাগজপত্র আটকে রাখা হয় তাঁদের। তাই ফেরার পথও থাকে না। শ্রমিক শোষণ থেকে বছরে প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলার আয় করে শোষণকারীরা।
আমেরিকায় প্রতিবছর দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসেন যাঁরা, তাঁদের প্রতি ছ’জনের এক জন যৌন দাসত্বের শিকার।
আমেরিকায় প্রতিবছর দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসেন যাঁরা, তাঁদের প্রতি ছ’জনের এক জন যৌন দাসত্বের শিকার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -