Kongo Gumi: ১০ বছর ধরে প্রশিক্ষণ কর্মীদের, ৫৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা, শুধু মন্দির সংস্কার করে ১৪৪৫ বছর টিকে এই সংস্থা
ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফার কথা ভাবেন অনেকেই। কিন্তু ব্যবসা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। ইদানীং কালে ইতিউতি স্টার্টআপ গজিয়ে উঠতে দেখে মাথার পোকা নড়ে উঠলেও, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, কয়েক বছর বা কয়েক মাসের মধ্যেই অধিকাংশ পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅনিশ্চয়তায় ভরা, ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়ায় ব্যবসা দাঁড় করানো এবং সর্বোপরি সফল ভাবে তাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম জাপানের Kongō Gumi সংস্থা। ছবি: পিক্সাবে।
Kongō Gumi একটি নির্মাণ সংস্থা, যার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ৫৭৮ খ্রিস্টাব্দে। অর্থাৎ আজ থেকে ১৪৪৫ বছর আগে। দিনকালের নিরিখে বর্তমানে বিশ্বের প্রাচীনতম সংস্থা Kongō Gumi. আজও সফল ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ছবি: পিক্সাবে।
জাপানের ওসাকায় Kongō Gumi-র সদর দফতর। ইতিহাস বলছে, আজ থেকে ১৪৪৫ বছর আগে জাপানের যুবরাজ কোরিয়া থেকে তিনজন কাঠমিস্ত্রিকে ডেকে পাঠান ‘Nihon Shoki’ নামের একটি বৌদ্ধমন্দির নির্মাণের জন্য। ছবি: পিক্সাবে।
সেই লক্ষ্যেই Kongō Gumi সংস্থার পত্তন ঘটে, যা কিনা ২০০৬ সাল পর্যন্ত পারিবারিক ব্যবসাই ছিল। ওই বছর Takamatsu Construction Group সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে। ছবি: পিক্সাবে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বছর শেষে মুনাফা সত্ত্বেও আমেরিকার ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির অস্তিত্ব খুব বেশি হলে ২১ বছর হয়, Google, Tesla বা Microsoft-এর মতো টেক জায়ান্ট নয়, সাধারণ ব্যবসার কথা বলা হয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
সেক্ষেত্রে Kongō Gumi সংস্থার ১৪৪৫ বছর ধরে টিকে থাকা সেই নিরিখে আলাদাই একটি ইতিহাস। এর জন্য সংস্থার কাজের ধরনকে কৃতিত্ব দেন অনেকে। তাঁদের দাবি, ২০০৬ সালে শেষ বার হাতবদল হওয়ার আগে, পৃথিবীর বৃহত্তম অপারেটিং সংস্থা ছিল Kongō Gumi. ফাইল চিত্র।
আজও পুরনো মূল্যবোধ এবং রীতিনীতি বজায় রয়েছে সংস্থায়। বর্তমানে মূলত বৌদ্ধমন্দিরেরক সংস্কার এবং ঐতিহাসিক সৌধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে Kongō Gumi. কিন্তু সংস্থার কর্মীদের পরিবারের মতো করে রাখা হয়। ফাইল চিত্র।
ওই সংস্থায় কর্মীদের ১০ বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সংস্থার কর্মীদের পরস্পরের বিরুদ্ধেই ভিড়িয়ে দেওয়া হয়। নামানো হয় প্রতিযোগিতায়, যাতে প্রাচীনকালের মতো কাঠ এবং মাটি ব্যবহার করে মন্দির বানিয়ে দেখাতে হয় তাঁদের। এই প্রতিযোগিতায় যাঁর কাজ সবচেয়ে নিঁখুত হয়, তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। ফাইল চিত্র।
করোনার সময় সঙ্কট দেখা দেয় Kongō Gumi সংস্থায়। মন্দিরের এবং সৌধ সংস্কারের একাধিক কাজ থমকে যায়। শুধু তাই নয়, ইদানীং কালে জাপানে মন্দির এবং সৌধে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও লাগাতার কমতে শুরু করেছে। কিন্তু কর্মীদের দক্ষতা এবং নিপুণতার জন্যই জাপানে আজও পরিচিত Kongō Gumi. তাই গুরুত্বপূর্ণ সব কাজের বরাত যায় তাদের হাতেই। তবে পারিবারিক সংস্থা হলেও, Kongō Gumi সংস্থায় কখনও কেউ মাথা হয়ে বসেননি, সাম্রাজ্য বিস্তারে যাননি। বর্তমানে সংস্থায় Kongo পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে একজন মাত্র সদস্য রয়েছেন, যিনি পরিবারের ৪০তম প্রধান সদস্যের মেয়ে। সংস্থার বার্ষিক আয় ৩.৮ কোটি ডলার। সংস্থার কর্মিসংখ্যা ১১০।
তবে পারিবারিক সংস্থা হলেও, Kongō Gumi সংস্থায় কখনও কেউ মাথা হয়ে বসেননি, সাম্রাজ্য বিস্তারে যাননি। বর্তমানে সংস্থায় Kongo পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে একজন মাত্র সদস্য রয়েছেন, যিনি পরিবারের ৪০তম প্রধান সদস্যের মেয়ে। সংস্থার বার্ষিক আয় ৩.৮ কোটি ডলার। সংস্থার কর্মিসংখ্যা ১১০। তবে পারিবারিক সংস্থা হলেও, Kongō Gumi সংস্থায় কখনও কেউ মাথা হয়ে বসেননি, সাম্রাজ্য বিস্তারে যাননি। বর্তমানে সংস্থায় Kongo পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে একজন মাত্র সদস্য রয়েছেন, যিনি পরিবারের ৪০তম প্রধান সদস্যের মেয়ে। সংস্থার বার্ষিক আয় ৩.৮ কোটি ডলার। সংস্থার কর্মিসংখ্যা ১১০।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -