Socotra Island: গাছ কাটলে বেরোয় রক্ত! আজও রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর এই দ্বীপটি
ম্যাপ দেখতে ভালবাসেন? কিংবা ভূ-পর্যটক হওয়ার নেশায় খুঁজে চলেন না জানা নানা দেশ, নানা দ্বীপ? কিংবা মনে মনে হারিয়ে যেতে চান তেমনই কোনও দেশে? তাহলে চলে যেতে পারেন সোকোত্রা। নাম শুনে মনে হতেই পারে এমন কোনও জায়গা আদৌ আছে কি? প্রাচীন ইতিহাসে না থাকলেও আধুনিক ম্যাপে পাবেন। অনেকেই বলেন এই দ্বীপ না কি ভিনগ্রহীদের তৈরি। তবে রটনার একাধিক কারণও রয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদ্বীপটির অবস্থান বেশ অদ্ভূত জায়গায়। ভারত মহাসাগরের মধ্যে। মূল ভূখণ্ডগুলি থেকে বেশ কিছুটা দূরে। যদিও বর্তমানে এটি এখন রিপাবলিক অফ ইয়েমেনের অন্তর্ভূত। কিন্তু দ্বীপটি জলঘোলা কম নেই। এই দ্বীপে এমন সব বিচিত্র উদ্ভিদ আর প্রাণীর দেখা মেলে, যা বিশ্বের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সাদা বালির সৈকত, নীলরঙা ট্যারেন্টুলা থেকে বিরল প্রজাতির বিভিন্ন উদ্ভিদরা রয়েছে এই দ্বীপে।
গোটা দ্বীপজুড়েই রয়েছে নানা বিরল প্রাণী ও উদ্ভিদ। দ্বীপের কোথাও ছাতার মতো গাছ, আবার কোথাও দেখা যায় খর্বাকৃতির গাছ। কোনো গাছ পাতাহীন, কিন্তু গাছের প্রতিটি ডালে ফুল ফুটে আছে। এ যেন কোনো ভিনগ্রহের আবাসভূমি। ২০০৪ সালে বিশ্ব পরিবেশ সংস্থা সোকোত্রা দ্বীপপুঞ্জের তিনটি প্রজাতিকে অতি বিপন্ন এবং ২৭টি প্রজাতিকে বিপন্ন উদ্ভিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সোকোত্রা দ্বীপপুঞ্জের এক বিস্ময়কর গাছের নাম ড্রাগন ব্লাড ট্রি। এই দ্বীপপুঞ্জের বাইরে আর কোথাও এ গাছ জন্মায় না। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মধ্যে গাছগুলো প্রকৃতপক্ষে প্রাগৈতিহাসিক অরণ্যের অংশবিশেষ। এ প্রজাতির গাছ ৬৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঁচে।
গাছের পাতার ওপরের অংশে সবুজ পাতার ঠাস বুনোট থাকার কারণে দূর থেকে গাছগুলোকে ছাতার মতো দেখায়। যদিও এই গাছ কাটলে না কি 'রক্ত' বেরোয়! যদিও উদ্ভিদবিদরা জানিয়েছেন যে এটি আসলে আটা জাতীয় কষ। এগুলি দিয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং রং তৈরি করা যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে এই দ্বীপে ৯০ শতাংশেরও বেশি সরীসৃপ বসবাস করে। প্রায় ৩৫ প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। এখানকার স্থলশামুকের ৯৫ শতাংশই বিশ্বের কোনো জায়গায় পাওয়া যায় না।
২০০৮ সালে এই অদ্ভুত সোকোত্রা দ্বীপটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -