Seoul Stampede: উৎসব বদলে গেল বিভীষিকায়, হ্যালোউইনের সন্ধেয় রাস্তায় শবের সারি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১৫১ জনের
করোনা কালে বিরতি পড়েছিল দু’বছর। পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হওয়াতেই তাই বাঁধ ভেঙেছিল ধৈর্য। হ্যালোউইন উৎসব ঘিরে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। কিন্তু উৎসবের সেই উন্মাদনাই বদলে গেল বিভীষিকায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের ঘটনা। সেখানকার ঝাঁ চকচকে শহর ইটাউন। পানশালা, রেস্তরাঁ, বিনোদনের জন্য পরিচিত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাই আকর্ষণ রয়েছে বাড়তি।
হ্যালোউইন উপলক্ষে শনিবার বিকেল থেকেই তাই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। সন্ধে হতে হতে পা রাখার জায়গা ছিল না। তত ক্ষণে বিপদের ইঙ্গিত যদিও মিলতে শুরু করে।
সঙ্কীর্ণ রাস্তার উপর লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন শনিবার রাতে। তাতে সন্ধে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কবার্তা ভেসে আসতে শুরু করে। ওই এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই।
কিন্তু রাত ১০.৩০টা নাগাদ পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। গিজগিজে ভিড়, চাপাচাপি, ধাক্কাধাক্কিতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় অনেকের। ঘটনাস্থল থেকে ফোন যেতে শুরু করে থানায়।
সোল পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে একটি, দু’টি ফোন আসে তাদের কাছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে মুহুর্মুহু ফোন আসতে থাকে। শতাধিক মানুষের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে বলে জানতে পারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্টের জেরে বেরনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একে অপরকে পিষে এগিয়ে যেতে থাকেন সকলে। তাতেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।
বহু মানুষ রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় কয়েক জনই প্রথমে তাঁদের সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একে একে মোট ১৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।
প্রথমে দু'জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মুহূর্তের মধ্যে তা বেড়ে ৫৯ হয়ে যায়। রবিবার সকালে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ১৫১। আহত ১৫০ জনের মধ্যে অধিকাংশই মেয়ে, বয়স ২০র কোটা পেরোয়নি কারও।
অভিযোগ, বেআইনি ভাবে অত মানুষ জমায়েত করেন ওই জায়গায়। সব কিছু জেনেও ভিড় সরাতে তৎপর হয়নি পুলিশ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -