US Evacuation: ২০ বছরের যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান, আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ল মার্কিন সেনা, উচ্ছ্বাস তালিবানের
২০ বছরের যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান। নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ল মার্কিন সেনা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপেন্টাগন জানিয়েছে, ৩০ অগস্ট, অর্থাত্ গতকালই সব মার্কিন সেনাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শেষ সৈনিক হিসেবে C-17 বিমানে ওঠেন মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহিউ।
পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে আমেরিকার আর কোনও কূটনৈতিক প্রতিনিধি নেই। ওই অফিস কাতারের দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তী স্তরে দোহা থেকেই কাবুলের সঙ্গে কূটনৈতিক দৌত্য চালানো হবে।
নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই শেষ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েছে তালিবান। শূন্য গুলি ছুড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে।
কেউ কেউ আবার রকেট ছুড়তে শুরু করে। কাবুলে ঘনঘন শোনা যায় রকেট ও গুলির শব্দ। তালিবানরা রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দ করতে থাকে।
তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের সময় রাত ৯টা নাগাদ শেষ মার্কিন সেনা কাবুল ছেড়ে গেছে। ফলে আফগানিস্তান এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন।
মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার পরই কাবুল বিমানবন্দরের দখল নেয় তালিবান।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি আমেরিকা, আফগানিস্তান ও অন্য দেশের নাগরিকদের কাবুল থেকে সরানো হয়েছে।
তবে সূত্রের দাবি, প্রায় দুশো জন মার্কিন নাগরিক ও আফগানিস্তানের অসংখ্য মানুষ কাবুল ছাড়তে পারেননি।
এদিকে মার্কিন সেনা ফেরার পরই স্বমূর্তি ধরেছে তালিবান। খুনের হুমকি দিয়ে বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো শুরু করেছে তারা। সূ
সূত্রের খবর, আমেরিকা বা ন্যাটোর সেনার সঙ্গে যাঁরা সহযোগিতা করেছে, সেই আফগানদের বাড়ির দরজায় চিঠি ঝুলিয়ে দিয়ে আসছে তালিবান। চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে, আত্মসমর্পণ না করলে তাঁদের খুন করা হবে।
এদিকে, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের হাতেই এখনও পঞ্জশিরের দখল। কিন্তু আমেরিকার সেনা কাবুল ছাড়ার পর পঞ্জশির দখলে আরও উত্সাহী তালিবান। সূত্রের খবর, গতকালই পঞ্চশিরের একটি আউটপোস্ট আক্রমণ করে তালিবান। কিন্তু নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের দাবি, সেই আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে।
মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তান নিয়ে প্রস্তাব পাশ হল। ১৩টি রাষ্ট্রের সমর্থনে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। চিন ও রাশিয়া ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। তবে প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনও ভোটও পড়েনি।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যে আফগান বা বিদেশি নাগরিকরা কাবুল ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের নিরাপদে আফগানিস্তান ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মহিলা, শিশু ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে।
আমেরিকা আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ার পর ওই দেশের আকাশসীমা প্রায় ব্যবহারই করছে না বিভিন্ন বিমান সংস্থা। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের আকাশ সীমা ব্যবহার করা হচ্ছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -