World Bamboo Day 2022: নির্মাণকার্য থেকে হস্তশিল্প, খাবারের স্বাদ বাড়াতেও ব্যবহার, অথচ নগর নির্মাণে সাফ হয়ে যাচ্ছে বাঁশবাগান
মুখে পরিবেশ রক্ষার কথা বললেও, রোজকার জীবনে প্লাস্টিক-সহ ক্ষতিকর সামগ্রীর ব্যবহারই বেশি করে থাকি আমরা। অথচ হাতের কাছেই রয়েছে সস্তা, টেকসই এবং পরিবেশবাান্ধব বিকল্প।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগ্রামে-গঞ্জে তো বটেই শহরতলিতেও ইতিউতি বাঁশবাগান চোখে পড়ে। অথচ রোজকার জীবনে বাঁশ দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। তাই বাঁশবাগান সাফ করে ইঁটের গাঁথনি তুলতে দু’বার ভাবি না আমরা।
এই উদাসীনতা দূর করতেই ১৮ সেপ্টেম্বর দিনটি বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে পালিত হয়, যার হোতা বিশ্ব বাঁশ সংগঠন, যাতে বাঁশবাগান, বাঁশের সামগ্রী নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা যায় মানুষের মধ্যে।
২০০৯ সাল থেকে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঁশ দিবস। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর ব্যবহারে জোর দেওয়াই এর লক্ষ্য। ১০০টি দেশ তাতে সায় দিয়েছে। এই দিনেই আবার জাতীয় বন দিবস পালন করে তাইল্যান্ড।
ভারতের মতো দেশে বাঁশের উপর নির্ভরশীল হস্তশিল্পের কথা শোনা গেলেও, তার সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা গড়ে ওঠেনি এখনও পর্যন্ত। আবার শহরের নামীদামি শপিং মলে যে সামগ্রী পাওয়া যায়, তার মূল্যও আকাশছোঁয়া।
অথচ বাঁশের সামগ্রী তৈরিতে নিযুক্ত শিল্পীদের আয় যৎসামান্য। এমনকি এককালে যাঁরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, ধীরে ধীরে তাঁরাও রোজগারের অন্য রাস্তা খুঁজছেন।
এই আবহে কিছু তথ্য জেনে রাখা ভাল। যেমন, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ হল বাঁশ গাছ। প্রতিদিন ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায় বাঁশ গাছ।
বিদেশি খাবারে বাঁশের অঙ্কুর, যা ব্যাম্বু শুট নামে পরিচিত, তার ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এর উপকারও রয়েছে অনেক।
নির্মাণের ক্ষেত্রেও বাঁশ কাজে লাগে। কাগজ তৈরি করা হয় বাঁশ থেকে। আবার বাঁশের উপর নির্ভর করে গডে় তোলা যায় লাভজনক হস্তশিল্পও।
বাঁশ বাগান গড়ে তুলতে সার, কীটনাশক বা রাসায়নিকের প্রয়োজন পড়ে না। বাঁশের পাতা পচে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। নদীর ভাঙন রুখতও বাঁশ বাগান গড়ে তোলা হয় বহু জায়গায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -