World Hippo Day: স্থলেই বসবাস, কিন্তু সম্পর্ক রয়েছে তিমির সঙ্গে!
দিনের বেশিরভাগ সময় কাটায় জলেই। চিড়িয়াখানায় গেলে একে দেখা চাইই চাই। বলা হচ্ছে হিপোপটেমাসের কথা। যাকে বাংলায় বলা হয় জলহস্তি। আজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলহস্তি দিবস।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In AppInternational Union for Conservation of Nature (IUCN)-এর তালিকায় অনুযায়ী এটি Vulnerable-তালিকাভুক্ত প্রাণী। ২০০৬ সালে এটিকে বিপন্ন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
জলহস্তি একটি তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী। মূলত জলজ উদ্ভিদ এদের প্রধান খাদ্য। পাশাপাশি জলাভূমির ধারের উদ্ভিদ-ঘাস এরা খেয়ে থাকে। আফ্রিকা মহাদেশের মূলত সাব-সাহারান আফ্রিকা এদের মূল বাসস্থান।
হাজার খানেক বছর আগেও একাধিক প্রজাতির জলহস্তি ছিল। কিন্তু এখন ২টি প্রজাতি রয়েছে। একটি common hippopotamus বা River hippopotamus. অন্যটি pygmy hippopotamus. গরম থেকে বাঁচতেই দিনের বেলার অধিকাংশ সময় প্রাণীটি জলেই কাটায়।
এই প্রাণীটিও চোরাশিকারের কবজায় পড়েছে বারবার। বিভিন্ন কারণে চোরাশিকারিদের নিশানায় থেকেছে এই প্রাণীটি। যার ফলে একসময় প্রবল হারে সংখ্যা কমেছে। এখনও সঙ্কটজনক তালিকাভুক্ত।
ভূমিতে বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে ওজনের দিক থেকে হাতির পরেই রয়েছে জলহস্তির স্থান। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যারও শিকার এই প্রাণীটি। ক্রমশ কমছে জলহস্তির বাসস্থান। পাশাপাশি খাদ্যের সঙ্কটের ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে। তার ফলেই আরও বাড়ছে জলহস্তির অস্তিত্ব সঙ্কট।
জলহস্তি মূলত দল বেঁধে থাকে। সেই দলের মূল দায়িত্ব থাকে এক পুরুষ জলহস্তির উপর। মাদী জলহস্তি প্রতি ২ বছরে একটি শাবকের জন্ম দেয়। হাতির মতোই জলহস্তির দলেও শাবক ও তার মাকে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষাবলয়ে রাখা হয়।
আফ্রিকার প্রবল গরমে, রোদের তাপ। জলহস্তির ত্বক সহ্য করে কী করে? উত্তর লুকিয়ে রয়েছে প্রাণীটির ত্বকেই। জলহস্তির ত্বকে এমন গ্ল্যান্ড রয়েছে যা একধরনের তৈলাক্ত তরল নিঃসৃত করে, যা হাওয়ার সংস্পর্শে এলে লালচে রঙের হয়ে যায়। এটাই কার্যত সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে।
দেখতে আলাদা, বাসস্থান আলাদা। মিল নেই কোনওকিছুতেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জলহস্তি আর তিমির (Whale) মধ্যে নাকি আত্মীয়তার যোগ রয়েছে।
কারণ, ফসিল থেকে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দুটিরই পূর্বপুরুষ এক। সেই প্রাণীটি অন্তত ৫০-৫২ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর মাটিতে ঘুরে বেড়াত। তারপর কীভাবে আলাদা হল, তা বিবর্তনবাদের বিষয়, যার ঠিক কারণটি জানতে এখনও চলছে বিস্তর গবেষণা। ছবি: PTI, Pexels, Pixabay
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -