World Malaria Day 2022: আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস
ম্যালেরিয়া এমন একটি রোগ, যার জন্য একসময় উজাড় হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। চিকিৎসার অভাবে মারা গিয়েছেন বহু লোক। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রকোপ রয়েছে ম্যালেরিয়ার।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমশাবাহিত এই রোগের শিকার হয়েছেন বহু লোক। বাংলা তথা ভারতের বহু সাহিত্যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের বহু ঘটনার কথা উঠে এসেছে। ম্যালেরিয়া নিয়ে সচেতন করতেই প্রতিবছর ২৫ এপ্রিল দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস।
অ্যানাফেলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ছড়ায়। মশার লালারসের মাধ্যমে রক্তে মেশে। তারপর লিভারে বংশবৃদ্ধি হয় ম্য়ালেরিয়ার জীবাণুর। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এবং আরও একাধিক উপসর্গ দেখা যায়।
আঠারোশো শতকের শেষদিকে ম্য়ালেরিয়ার জন্য দায়ী পরজীবীকে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানী চার্লস ল্যাভেরন। তাতেই প্রথম খোঁজ মেলে কী কারণে ম্যালেরিয়া হয়।
এর কয়েক বছর পরে ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী স্যার রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেন যে ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা। এই আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পান তিনি।
প্রতিবছর আফ্রিকা মহাদেশের বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা, মূলত শিশুরা ম্য়ালেরিয়ার আক্রান্ত হন। অনেক মৃত্যুও ঘটে। প্রথমে পালিত হত আফ্রিকা ম্যালেরিয়া ডে। ২০০১ সালে থেকে আফ্রিকার দেশগুলি সচেতনতা ছড়াতে এই দিবটি পালন করত। পরে World Health Assembly-র ষাটতম অধিবেশনে আফ্রিকা ম্যালেরিয়া দিবসকে, বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসে পরিণত করা হয়।
মূলত রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয় করা হয়। বারবার ফিরেও আসতে পারে ম্যালেরিয়া।
ম্য়ালেরিয়ার সারাতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সংক্রমণ মুক্ত হলেও ম্যালেরিয়ার ধাক্কা শরীরে থেকে যায় বহুদিন।
মশা তাড়াতে বিভিন্ন ধূপ এবং কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কোনও জায়গায় জল জমতে না দেওয়া, জমা জল ফেলে দেওয়ার মতো কাজ নিয়ম মেনে করতে হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতির পরেও এখনও এই রোগের নির্মূল করা যায়নি। ফলে মশা দূর করতে, মশার লার্ভা ধ্বংস করার বার্তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে সচেতনতা প্রচার করা হয়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -