World Radio Day: আজ বিশ্ব রেডিও দিবস, পুরীর সৈকতে বালিশিল্পে সম্মান দিনটিকে
মহালয়ার দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী। কিংবা দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পছন্দের শিল্পীর কণ্ঠে কোনও গান। ময়দানের বড় ম্যাচের প্রবল উত্তেজনার কোনও মুহূর্ত। অথবা গুরুগম্ভীর বিষয়ের কোনও খবর। একসময়ে সব বয়সের বিনোদনের একমাত্র ঠিকানা ছিল রেডিও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appটেলিভিশন কী, তা তখন জানতেন না কেউ। বিনোদনের হরেক উপায়ও ছিল না। ঘরে ঘরে কোনও খবর পৌঁছে দেওয়া একেবারেই সহজ কাজ ছিল না। সেই সময় থেকেই প্রতিটি দায়িত্বই পালন করে এসেছে রেডিও।
সমাজ থেকে ব্যক্তিগত জীবনে রেডিওর এই অবদান স্মরণে রাখতেই পালিত হয় বিশ্ব রেডিও দিবস (World Radio Day)। প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় এই দিনটি।
২০১১ সালে UNESCO-এর তরফে এই দিনটিকে রেডিও দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। ২০১৩ সালে UNGA-তে এই দিনটি আন্তর্জাতিক একটি দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৩ সালের বিশ্ব রেডিও দিবসে থিম হল 'Radio and Peace'। রেডিওর পরিকাঠামো এবং প্রযুত্তির নিরন্তর উন্নতি হচ্ছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তি। সেই বিষয়টিও এই বছরের থিমের মাধ্য়মে তুলে ধরা হচ্ছে। সাধারণত মানুষের কাছে নতুন তথ্য পৌঁছে দেওয়া। বিশ্বজুড়ে সহজে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেডিও নির্ভরযোগ্যতার কথাও তুলে ধরা হবে।
United Nations General Assembly-হাত ধরেই এই দিনটি পালন করা শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক উন্নতি এবং ঠিক তথ্য় সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে রেডিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য, এমনটাই মনে করে বিশ্বমঞ্চ।
ভারতে একাধিক বেসরকারি রেডিও এফএম চ্যানেল রয়েছে। রয়েছে আকাশবাণী-ও। All India Radio-র সঙ্গে ভারতের ইতিহাস ও সমাজ ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। ভারতে ১৯২৩ সাল থেকে ব্রডকাস্ট শুরু হয়। তারপর নানা পথ পেরিয়ে ১৯৩০ সালে তৈরি হয় Indian Broadcasting Service. ১৯৩৬ সালে তারই নাম হয় All India Radio.
যখন ভারত স্বাধীন হয় তখন ভারতে মাত্র ৬টি রেডিও স্টেশন ছিল। এরপরে ১৯৫৬ সালে এর নাম করা হয় AKASHVANI (আকাশবাণী)। ১৯৫৭ সালে আসে 'বিবিধ ভারতী'- তা ছিল মূলত বিনোদনের জন্য।
এখন AIR বিশ্বের অন্যতম বড় রেডিও ব্রডকাস্টার। সারা ভারতে ছড়িয়ে ৪৭০টি কেন্দ্র। ২৩টি ভাষায় এবং ১৭৯টি ডায়ালেক্টে সম্প্রচারিত হয় অনুষ্ঠান। মোট ১৯টি এফএম চ্যানেল রয়েছে।
বিশ্ব রেডিও দিবসকে সম্মান জানিয়ে তৈরি বালিশিল্প। পুরীর সৈকতে শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক তৈরি করেছেন এই শিল্পকর্মটি। ছবি: PTI, ট্যুইটার, Pexels, Pixabay
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -