Exit Poll 2024
(Source: Poll of Polls)
Ram Mandir Gold Door: শুধু অযোধ্যায় নয়, দেশে নানা মন্দিরে রয়েছে সোনায় মোড়া জিনিস, সেগুলি কী কী?
পঞ্জাবের অমৃতসরে অবস্থিত স্বর্ণ মন্দিরের শ্রী হরমন্দির সাহেবের উপরের তলার বাইরের অংশটি ৪০০ কেজি সোনার একটি স্তর দিয়ে আবৃত করা হয়েছে। সোনার এই স্তরের কারণে এর নামকরণ করা হয়েছিল গোল্ডেন টেম্পল। শিখ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ 'গুরু গ্রন্থ সাহেব' শ্রী হরমন্দির সাহেবে রাখা আছে। এটি ভারতের সবচেয়ে ধনী গুরুদ্বারগুলির মধ্যে একটি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটা তিরুমালা পাহাড়ের সপ্তম চূড়ায় নির্মিত শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের একটি ৮ ফুট উঁচু মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহটি সোনার কাজ দিয়ে সজ্জিত। মূল মূর্তিটিকেও মূল্যবান পাথর দিয়ে সাজানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি ১৭৮০ সালে রানি অহল্যাবাই হোলকার তৈরি করেছিলেন। পঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিং দুটি চূড়া সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপরে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ধর্ম ও সংস্কৃতি মন্ত্রক দ্বারা তৃতীয় শিখরটি সোনা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এই মন্দির নির্মাণে মোট ১৫০০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে।
তিরুঅনন্তপুরমে নির্মিত শ্রী পদ্মনাভ স্বামী মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মন্দিরে সোনার মূর্তি, সোনার অলঙ্কার এবং মূল্যবান পাথর সহ হাজার হাজার কোটি টাকার মোট সম্পদ রয়েছে। মন্দিরে সোনার তৈরি দুটি নারকেলও রয়েছে। মূল্যবান পাথর দিয়ে সাজানো হয়েছে এগুলো। এছাড়াও মন্দিরের ২৮টি স্তম্ভ সোনা দিয়ে লেপে দেওয়া হয়েছে। গোপুরমের সাতটি চূড়া সোনায় মোড়া।
তামিলনাড়ুর ভেলোর স্বর্ণ মন্দির দেবী মহালক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির নামেও পরিচিত। মন্দিরের মণ্ডপ ও বিমান খাঁটি সোনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রায় ১০০ একর জুড়ে বিস্তৃত মন্দির চত্বরে স্বর্ণকারদের দ্বারা শতাধিক মূর্তি সুন্দরভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। মন্দিরের বাইরের অংশটি সোনার প্লেট এবং স্তর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের ত্রিকূট পাহাড়ে অবস্থিত মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে একটি প্রাকৃতিক গুহা রয়েছে। এই গুহার মূল দরজায় সোনা, রূপা ও তামার কাজ করা হয়েছে। দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের কারিগররা এই গেটে ১১ কেজি সোনা, ১১০০ কেজি রুপো এবং তামা ব্যবহার করেছেন। প্রতি বছর সোনা ও রূপা মন্দিরে নৈবেদ্য হিসেবে আসে।
শবরীমালার ভগবান আয়াপ্পা মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদটি সোনার একটি স্তর দিয়ে সজ্জিত। এর ছাদে ৩২ কেজি সোনা এবং ১৯০০ কেজি তামা ব্যবহার করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের সিরডিতে সাঁই বাবা মন্দিরের গর্ভগৃহকে কয়েক কেজি সোনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সাঁই বাবা মন্দিরটি মুম্বই থেকে প্রায় ৩০০ কিমি দূরে রয়েছে। সিরডির সাঁই বাবা মন্দির দেশের ধনী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম
মুম্বইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের দরজাগুলো সোনা দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। দরজাগুলোয় সোনার পাতা দিয়ে সাজানো হয়েছে। গর্ভগৃহটিও সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের ভিতরের দেয়ালে খাঁটি সোনার কাজ করা হয়েছে। ছবি সূত্র: PTI, এবিপি লাইভ,মন্দিরের ওয়েবসাইট এবং X হ্যান্ডেল। তথ্যসূত্র: এবিপি লাইভ
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -