Gangasagar Kapil Muni : গঙ্গাসাগরে মকরস্নানে সমাগম কপিল মুনির আশ্রম ঘিরেই, কে এই কপিলমুনি?
সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর। পুণ্যস্নান করতে এখন থেকেই জড়ো হয়েছেন শত শত মানুষ। পৌষশেষে মকর সংক্রান্তিতে এখানে পবিত্র স্নান করা মোক্ষের পথ প্রস্তুত করে বলে ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিশ্বাস করা হয় , গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রা শত শত তীর্থের সমান। মকর সংক্রান্তির সঙ্গে জুড়ে থাকা পৌরাণিক কাহিনি পড়লে জানা যায়, এই মকর সংক্রান্তি তিথিতে শিবের জটা থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে গঙ্গা নেমে এসেছিল। কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছেছিল।
সাগর স্নানের সঙ্গে জড়িয়ে এই কপিল মুনির আশ্রম। কে এই কপিল মুনি ? বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, ইক্ষাকু বংশের রাজা সগর সারা পৃথিবীতে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। অপ্রতিরোধ্য সগরকে দেখে দেবরাজ ইন্দ্র ভয় পেয়ে যান।
তিনি ঘোড়াটি চুরি করে পাতালে গভীর ধ্যানে মগ্ন ঋষি কপিলের কাছে ঘোড়াটি রেখে যান। এদিকে রাজা সগরের নির্দেশে তাঁর ৬০ হাজারটি ছলে ঘোড়া খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে।
শেষেমেষ ঘোড়াটিকে ঋষির আশ্রমের কাছে চরতে দেখা যায়। তখন রাজপুত্ররা মুনিকে অপমান করেন। রোষে ঋষি ভস্ম করে দেন সাগর পুত্রদের।
কয়েক প্রজন্ম পরে, সাগর রাজার এক বংশধর রাজা ভগীরথ পাতাল থেকে তার পূর্বপুরুষদের আত্মাকে মুক্ত করতে সচেষ্ট হন।
তিনি দেবী গঙ্গার তপস্যা করেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা বর দেন সগরকে। শেষ পর্যন্ত প্রজাপতির বরে তিনি স্বর্গের গঙ্গা নামে পৃথিবীতে।
স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নামার সময় প্রবল ধাক্কা দেয় গঙ্গা। আর সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে ওঠে বিশ্ব। তখন সেই গঙ্গাকে জটায় ধারণ করেন শিব। তারপর আবার শিবকে আরাধনা করে গঙ্গাকে মুক্ত করেন ভগীরথ।
ধীর গতিতে বইতে শুরু করে গঙ্গা। শেষ পর্যন্ত শঙ্খ বাজিয়ে তাঁকে পথ দেখিয়ে গঙ্গাসাগরে নিয়ে আসেন ভগীরথ। শেষপর্যন্ত গঙ্গার পুণ্যসলিলের স্পর্শে বেঁচে ওঠেন সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -