Hanuman Bahuk : শরীর ও মনে জোগায় অসীম শক্তি, অসুস্থতায় চিকিৎসার পাশাপাশি পাঠ করুন হনুমানজির এই শ্লোক
হনুমান ভক্তরা রোজ হনুমান চালিশা পাঠে ভরসা রাখেন। অনেকে আবার বজরং বাণ পাঠ করেন। কেউ কেউ পাঠ করেন হনুমান বাহুক। প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা গুরুত্ব আছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appহিন্দুধর্মে বিশ্বাস, হনুমান বাহুক এমন একটি শ্লোকমালা, যা পাঠ করলে অভূতপূর্ব ইতিবাচক শক্ত মেলে। তবে এটা পাঠেরও নির্দিষ্ট সময় আছে।
ষোড়শ শতকের কবি এবং ভগবান রামের একান্ত ভক্ত সাধক তুলসীদাস বিরচিত এই হনুমান বাহুক। এই শক্তিশালী প্রার্থনা ভক্তদের জীবনে নানা বাধা, অসুস্থতা এবং নানা চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে ।
শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ে এর কার্যকারিতা অসামান্য। যারা দীর্ঘ রোগ ভোগ করছেন, চিকিৎসা চলছে, তাঁদের মনে শক্তি জোগায় এই বাহুক। মনে করা হল, এই শ্লোকমালা পাঠে হনুমানজি সন্তুষ্ট হয়ে রোগ নিরাময়ের আশীর্বাদ করেন।
বাহুক শব্দের অর্থ বাহু । হনুমানজির শক্তিশালী বাহুর শক্তি মেলে এই শ্লোকমালা পাঠে। কথিত আছে, তুলসীদাস শেষ বয়সে খুব যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সেই সময় তিনি হনুমান বাহুক রচনা করেন ও পাঠ করে সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি পান।
কথিত আছে এর প্রতিটি শ্লোক উচ্চারণের মাধ্যমে তাঁর তীব্র ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়। যখন তিনি হনুমান বাহুক রচনা সম্পন্ন করেন, তখন ব্যথা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়।
হনুমান বাহুক হল একটি শক্তিশালী প্রার্থনা যা ভগবান হনুমানের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। বিশ্বাস করা হয়, যাঁরা কষ্ট থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন, তাঁরা এই বাহুক পাঠ করতে পারেন।
আর্থিক অসুবিধা, স্বাস্থ্য সমস্যা হলে এই প্রার্থনাটি অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। উপরন্তু, এটি মানসিক শক্তি দেয়। সারা বছরের যে কোনও সময়, অসুস্থ হলে এই মন্ত্র পাঠ করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -