সঙ্কটের মুখে ব্রহ্মাস্ত্রের মতো কাজ করবে হনুমানজীর এই মন্ত্র, হনুমান জয়ন্তীতেই করুন পাঠ
সমস্যায় জর্জরিত জীবন?কোনওভাবেই সমস্যামুক্তির পথ পাচ্ছেন না? ব্রহ্মাস্ত্রের মতো কাজ করে বজরং বাণ। হনুমান জয়ন্তী ২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার। এদিন হনুমানজীকে বিশেষ পুজো করার দিন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appহিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, হনুমানজির কৃপা দৃষ্টি যাঁর উপর একবার পড়ে, তাঁর ভূত পিশাচের ভয় থাকে না। আতঙ্ক গ্রাস করতে পারে না। হনুমান চালিশা পাঠ করলে হনুমানজি জাগ্রত হয়ে ওঠেন।
শাস্ত্রজ্ঞরা মনে করেন, বিপদ উদ্ধারের প্রার্থনা করার জন্য বজরং বাণ খুব শক্তিশালী। এখানে হনুমান জীকে শ্রীরামের নাম করে নিজেকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করার কথা বলেন ভক্ত। আর বিশ্বাস, রামের নামে কেউ কিছু প্রার্থনা করলে হনুমানজী তাঁকে ফেরান না।
বজরং বাণ তাই খুব শক্তিশালী মন্ত্র। যখন সমস্যা চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে তখন একমাত্র উপায় বজরং বাণ। বজরং বাণ পাঠ করার অনেক নিয়ম-কানুনের কথা অনেকে বলেন, কিন্তু মনে রাখতে হবে,হনুমানজী ভক্তিতেই সাড়া দেন। আর বজরং বাণে তো বলাই আছে, জপ তপ বা কোন আচার আমি জানি না প্রভু।
হনুমানজি সবার জীবনের কঠিন সমস্যা নিবারণ করেন। তিনি রামের ভক্ত। মনে রাখতে হবে যখনই হনুমানজীর পুজো করবেন, পাঠ করার আগে অবশ্যই রামের নাম পাঠ করুন। তারপর হনুমানজীর ধ্যান করতে হবে
হনুমান জয়ন্তীর দিন হনুমান চালিশা বা বজরং বাণ পাঠ করতে না-পারলেও একটি মন্ত্র জপ করতে পারলে ভাল । মন্ত্রটি হল- 'ওম হং হনুমতে নমঃ। ওম হং হনুমতে রুদ্রাত্মকায় হুং ফট'। হনুমানজী পরিবারের উপর আসা সব সঙ্কট দূর করে দেন।
হনুমান চালিশা শনি ও মঙ্গলবার তো বটেই, রোজও মাঠ করা যায়। তবে যে কোনও বড় সমস্যার হলে তবে বজরং বাণ পাঠ করা দরকার। তবে বিশেষ আর্জি ছাড়া যখন তখন বজরং বাণ পাঠ করা উচিত নয়।
হনুমানজীর পুজো করার সময় লাল বস্ত্র পরতে পারলে ভাল। পাঠ করার আগে অবশ্যই রাম-নাম নিন। অন্য কারও ক্ষতির উদ্দেশ্য নিয়ে এই পাঠ করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -