Hanuman Puja: স্বপ্নেও পুজোর আদেশ দিয়েছিলেন বজরঙ্গবলী, কেন মঙ্গলবারেই পুজো করতে হয়?

পুরাণে, হনুমানজিকে সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে দেখা যায়। অর্থাৎ, তাকে বীরত্ব, শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার দেবতা বলে মনে করা হয়। মঙ্গলবার দিনটি বজরঙ্গবলীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। কথিত আছে যে মঙ্গলবার উপবাস করলে অশুভ শক্তি নাশ হয়। হনুমানজী স্বয়ং সাধককে সমস্ত ঝামেলা থেকে রক্ষা করেন। ছবি-পিক্সাবে

সুখ, ধন, সম্পত্তি, সন্তান, সাফল্য ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য মঙ্গলবারের উপবাস অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মঙ্গলবার উপোস করলেও উপকার পাওয়া যায়। ছবি-পিক্সাবে

একাধিক গল্পও রয়েছে মঙ্গলবার হনুমান পুজো নিয়ে। গল্প অনুযায়ী, শহরের এক ব্রাহ্মণ দম্পতি নিঃসন্তান হওয়ার কারণে তারা সর্বদা সমস্যায় পড়তেন। দম্পতি ছিলেন বজরঙ্গবলীর পরম ভক্ত। প্রতি মঙ্গলবার ব্রাহ্মণ বনে গিয়ে হনুমানজির পূজা করতেন, ব্রাহ্মণী বাড়িতে মঙ্গলবার উপবাস করতেন। ছবি-পিক্সাবে

একবার ব্রাহ্মণী উপবাস ভঙ্গ করেছিলেন ভুলে, এরপর স্থির করলেন যে তিনি ৬ দিন ক্ষুধার্ত থাকবেন এবং পরের মঙ্গলবার হনুমানজিকে খাবার নিবেদন করেই তিনি আহার করবেন। ছবি-পিক্সাবে

ব্রাহ্মণীর ভক্তি দেখে হনুমানজী খুব খুশি হয়ে তাকে একটি সন্তান দান করেন। শিশুটির নাম রাখেন মঙ্গল। কিছুক্ষণ পর ব্রাহ্মণ বাড়িতে এলে ঘরে একটি শিশুকে দেখে অবাক হয়ে যান। ব্রাহ্মণী তার স্বামীকে পুরো ঘটনা বললেও ব্রাহ্মণ তার স্ত্রীর কথা বিশ্বাস করল না। একদিন সুযোগ দেখে ব্রাহ্মণ শিশুটিকে কূপে ফেলে দেয়, সে সময় ব্রাহ্মণী বাড়িতে ছিল না। ছবি-পিক্সাবে

ব্রাহ্মণী বাড়ি ফিরে এসে স্বামীকে মঙ্গল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তখন পেছন থেকে একটি শিশুর আওয়াজ এলো, দুজনেই ঘুরে গিয়ে দেখলেন, মঙ্গল ছাড়া আর কেউ নয়। শিশুটিকে দেখে ব্রাহ্মণ চমকে উঠলেন। ছবি-পিক্সাবে

এরপর রাত্রে হনুমানজি ব্রাহ্মণকে স্বপ্নে দেখালেন এবং বললেন যে এই শিশুটি তার একমাত্র। সত্য জানার পর ব্রাহ্মণ খুবই খুশি হলেন এবং মঙ্গলবার পূর্ণ ভক্তি সহকারে হনুমানের পূজা ও উপবাস করতে লাগলেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যারা মঙ্গলবার উপবাস করেন, তাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা হয় এবং তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। ছবি-পিক্সাবে