Ramkeli Mela: মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের স্মরণে মালদায় আজও হয় রামকেলি মেলা
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, মধ্যযুগে বাংলার মসনদে তখন ছিলেন সুলতান হুসেন শাহ। হিন্দু ধর্মের মধ্যে জাতিভেদ প্রথা তীব্র হয়ে আকার ধারণ করেছিল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসেই সুযোগে সুলতান দলে দলে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিলেন। সেই সময়েই বর্তমানের নদিয়া জেলাতে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী চৈতন্যদেব।
তাঁর হাত ধরে বৈষ্ণব ধর্মের মাধ্যমে নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা দলে দলে ফের সনাতন ধর্মে ফিরে আসতে শুরু করেন। পাশাপাশি ধর্মান্তকরণও অনেকটা কমে যায়।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃন্দাবন যাওয়ার পথে মালদা জেলায় আসেন মহাপ্রভু চৈতন্য দেব।
সেখানে আসার পর ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ এবং ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত শ্রেণির মানুষকে নিয়ে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করতে থাকেন চৈতন্যদেব।
ঠিক সেইসময়ে হুসেন শাহের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক দ্রাবিড় খাস ও শাকর মালিক চৈতন্য দেবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, ফলে বাড়তে থাকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত মানুষের সংখ্যা।
মহাপ্রভুর স্মৃতিতে মালদার গৌড়ে তাই জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তির দিন থেকে শুরু হয় রামকেলি মেলা। তারপর থেকে পেরিয়ে গেছে ৫১০ বছর। এই রামেকলি মেলা থেকেই প্রথম হয়েছিল হিন্দু গণবিবাহের সূত্রপাত। যা তখনকার জাতিভেদ প্রথার উপযুক্ত জবাব ছিল।
এই বছর শুক্রবার মেলাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, বিধায়ক আব্দুর বক্সী, ইংলিশ বাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
উদ্বোধনের দিনই মালদা সহ দেশ-বিদেশ থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়েছে এই মেলায়। আগামীকাল থেকে তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। গোটা এলাকা জুড়ে বসেছে সুবিশাল মেলা।
প্রতিবছরই এই মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রচুর মানুষের সমাগমে বারবার উচ্চারিত হয় মহাপ্রভুর নাম। (ছবি ও তথ্য- করুণাময় সিংহ)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -