Naihati Boro Ma: সন্তানলাভের আশায় অনেকেই চান বড় মা'র হোমের কলা, কবে কীভাবে নিবেদন করা যায়? কী নিয়ম?

নৈহাটির বড় মা। তাঁর মাহাত্ম্য এখন বাংলা পেরিয়ে দেশজুড়ে। দেশের বাইরেও বড়মার বহু ভক্ত। তবে এমন মানুষও আছেন যাঁরা বড়মার দর্শন এখনও করেননি।

বড়মার দর্শন করতে গেলে লম্বা লাইন দিতে হয় এ কথা অজানা নয়। তবে লাইন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এখানে আলাদা করে কোনও লাইন হয় না। একটিই লাইন মন্দির পর্যন্ত যায়।

বড় মা-র দর্শন করতে গেলে মন্দির খোলা পাবেন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত। আবার বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে বিশেষ দিনে সারাদিনও মন্দির খোলা রাখতে হয়।

অনেকের মনেই প্রশ্ন, বড় মা-র কাছে পুজো দিতে গেলে কি মন্দির থেকেই ডালা কিনতে হবে ? মন্দিরের ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানা গেল, মন্দির সংলগ্ন দোকান থেকেও ডালা কেনা যায়। কেউ চাইলে অন্য কোথাও থেকেও আনতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে ফুটপাথের দোকানগুলি থেকে কিনে অনেকরকম ভাবে প্রতারিত হয়েছেন।

মন্দির কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা, বড়-মায়ের নামে অসংখ্যা পেজ ও গ্রুপ আছে। তার অধিকাংশই মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তাই যে কোনও ব্যক্তি, অ্যাপ বা গ্রুপ থেকে টাকা দিয়ে পুজো দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বড়-মায়ের নামে অনেকেই প্রতারণা করে থাকেন।

সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষায় অনেকেই বড় মা-র কাছে মানত রাখেন। ভক্তমহলের দাবি, বড়মা-র হোমে উৎসর্গ করা কলা সন্তানলাভের ক্ষেত্রে আশীর্বাদের মতো কাজ করে।

অমাবস্যার দিন এই হোম হয়। যিনি সন্তানলাভের প্রার্থনা করতে চান, সেই মহিলাকেই আসতে হবে মন্দিরে। কিছু নিয়ম-কানুন আছে এক্ষেত্রে। মেনে চলতে হবে।

হোমের কলা মানত বা নিবেদনের ক্ষেত্রে আগে সরাসরি মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বাইরের কারও সঙ্গে ফোনে, অ্যাপে বা ওয়েবসাইটের মারফত এটা করা যায় না। সরাসরি মন্দিরে গিয়েই জেনে নিতে হবে নিয়ম।

মন্দিরে দণ্ডি কাটতে পারেন যে কেউ। তাঁর সঙ্গে একজন থাকতে পারেন। এঁদের লাইন দিতে হয় না। আগের দিন নিরামিষ খেয়ে , ওইদিন নতুন বস্ত্র পরে দণ্ডি কাটা যায়।

হোমের কলা যাঁরা নিবেদন করতে চান, তাঁদের অমাবস্যার আগে সরাসরি মন্দিরে এসে ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।