শিবজ্ঞানে জীবসেবাই ছিল জীবনের মন্ত্র, ঝাঁপিয়ে পড়তেন সেবাকাজে, ফিরে দেখা প্রয়াত স্বামী স্মরণানন্দের জীবন
স্বামী বিবেকানন্দর শিবজ্ঞানে জীব সেবার আদর্শ শুধু মুখে বলা না, তা জীবনে আত্মস্থ করেছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। নিজের শিষ্য শিষ্যাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন শিবজ্ঞানে জীবসেবার আদর্শ। শ্রদ্ধেয় গুরুদেবের রামকৃষ্ণলোকে গমনের খবর শোনার পর থেকে ভক্তদের চোখের জল বাঁধ মানছে না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসকাল থেকে ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠ প্রাঙ্গনে। হাতে ফুল নিয়ে অপেক্ষায় রইলেন ভক্তরা। সারিবদ্ধ হয়ে মহারাজকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন শিষ্যরা, ছাত্ররা।
স্বামী স্মরণানন্দজি ১৯২৯ সালে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০ বছর বয়সে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মুম্বই শাখার সংস্পর্শে আসেন। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, তিনি ২২ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে মুম্বই আশ্রমে যোগ দেন ।
স্বামী শঙ্করানন্দজি মহারাজের কাছে মন্ত্র দীক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি স্বামী শঙ্করানন্দজি মহারাজের কাছ থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৬০ সালে তাঁর নাম হয় স্বামী স্মরণানন্দ।
মুম্বই কেন্দ্র থেকে, তিনি ১৯৫৮ সালে রামকৃষ্ণ মঠের অদ্বৈত আশ্রমের কলকাতা শাখায় দায়িত্ব নিয়ে আসেন তিনি। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অদ্বৈত আশ্রমের মায়াবতী এবং কলকাতা উভয় কেন্দ্রেই কাজ করেছেন।
কয়েক বছর ধরে তিনি প্রবুদ্ধ ভারতের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৬ সালে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠে এর সচিব হিসাবে নিযুক্ত হন। সেখানে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৭৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ বন্যার সময় তিনি ত্রাণ কার্যে সক্রিয় ভূমিকা নেন। সারদাপীঠ থেকে তাঁকে ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ের রামকৃষ্ণ মঠের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন।
১৯৯৫ সালের এপ্রিলে, তিনি হন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহকারী সম্পাদক। দু’বছর পর হন সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সময়েই দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জার্মানিতে মিশনের সহযোগী কেন্দ্রগুলি বেলুড় মঠের অনুমোদন পায়। ২০০৭-এর মে মাসে তিনি সঙ্ঘের সহাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।
স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নেন স্বামী স্মরণানন্দ। তাঁর অগণিত ভক্ত আজ মহারাজের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -