Shiv Puran : জীবনে উন্নতি হবে নিশ্চিত, কাটবে বাধা, মেনে চলুন শিব পুরাণের এই কয়েকটি পরামর্শ
শিব পুরাণ হিন্দু ধর্মের ১৮ টি পুরাণের মধ্যে একটি। অনেকেই মনে করেন, এই পুরাণ সব পুরাণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । শিব পুরাণ পঠনে পুণ্যলাভ তো হয়ই, সেই সঙ্গে ব্যক্তিজীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশিব পুরাণ সাতটি সংহিতায় বিভক্ত এবং এর মধ্যে ২৪ হাজার শ্লোক রয়েছে। এতে ভগবান শিবের কল্যাণময় রূপ ও তাঁর মহিমা বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া মানবজীবনে সমৃদ্ধি ও মুক্তির পথও এতে বলা হয়েছে।
শিবপুরাণ পাঠ করলে কী হবে ভক্তের জীবনে? আধুনিক জীবনে জটিলতা থেকে কোনওভাবে মুক্তি দিতে পারে কি শিবপুরাণ ? কীভাবে এই পুরাণপাঠে মিলতে পারে সুখ সমৃদ্ধি ?
শিবপুরাণ বলে, আপনি যদি জীবনে সাফল্য ও সুখ চান তাহলে সবার আগে নিজের ভেতরের রাগ ও অহংকার ত্যাগ করুন। কারণ এই দুটি জিনিস কারও বিবেককে ধ্বংস করে এবং আপনার কাজ মাঝপথে নষ্ট করতে পারে।
শিবপুরাণ বলে, যে কোনও লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম পথ হল তপস্যা। শিব পুরাণে বলা হয়েছে যে দেবী পার্বতীও ভগবান শিবকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর তপস্যা করেছিলেন। লক্ষ্যে পৌঁছতে যে কারো নিয়মিত ধ্যান করা উচিত।
যখন দেবী সতী অগ্নিকুণ্ডে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তখন ভগবান শিব তাঁর দেহ কাঁধে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করেন। তার ফলে ত্রিলোক কেঁপে উঠেছিল। এমন অবস্থায়, ভগবান বিষ্ণু সতীর মৃতদেহ ছিন্নভিন্ন করে শিবের ক্রোধ প্রশমিত করেন।
শিবপুরাণে বলা হয়েছে যে কোনো জিনিসের প্রতি অত্যধিক আসক্তি একজন মানুষকে দুঃখ ও ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।
শিব পুরাণে বলা হয়েছে, প্রদোষ কালের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রদোষ কালে ভগবান শিবের আরাধনা শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এছাড়া,এই সময়ে কোনও খারাপ কাজ করা উচিত নয়। মনে খারাপ চিন্তা আনা উচিত নয় । কাউকে খারাপ কথা বলা উচিত নয়।
অর্থকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিবপুরাণে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । অর্থকে তিন ভাগে ভাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ভাগ বিনিয়োগের জন্য, দ্বিতীয় ভাগ খরচের জন্য এবং তৃতীয় ভাগ অন্য ভাল কাজে ব্যয় করতে হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -