Shravan Month 2025 : আসছে শ্রাবণ মাস; অখণ্ড থেকে শ্বেত বিল্বপত্র, জানুন দেবাদিদেবকে অর্পণের নানা বেলপাতার মাহাত্ম্য

১৮ জুলাই থেকে শুরু শ্রাবণ মাস। মনে করা হয়, এই শ্রাবণ মাস দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনার জন্য অত্যন্ত শুভ। আর শিব ভক্ত যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা তো জানেন, ভগবান শিবের পুজো আর বেলপাতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

বেলপাতা শুধু যে তিনটি পাতার সহাবস্থানেই ভগবানের প্রিয় হয়ে উঠেছে তাই নয়...

শিব ভক্ত যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা তো জানেন, ভগবান শিবের পুজো আর বেলপাতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কেন ত্রিপত্র বেলপাতা শিবের প্রিয়, তা নিয়ে অনেক বিশ্বাস, অনেক শাস্ত্রকথা প্রচলিত রয়েছে।

তবে, বেলপাতা শুধু যে তিনটি পাতার সহাবস্থানেই ভগবানের প্রিয় হয়ে উঠেছে তাই নয়, হয়তো অনেকে কম জানেন, ৬ বা ২১ পাতা সম্বলিত বেলপাতাও রয়েছে। কথিত, এই বেলপাতার বিশেষ মাহাত্ম্যও রয়েছে।

বেলপাতা বা বিল্বপত্র বা শিবদ্রুম। ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজোর উপাচারে বিশেষ স্থান থাকে বেলপাতার। বিল্বাষ্টক বা শিবপুরাণ সহ অন্যান্য বইয়ে বেলপাতার মহিমা বিস্তারিত বর্ণণা করা হয়েছে।

বেল গাছ তো শুধু এক গাছ নয়, আধ্যাত্মিক ও ওষধি গুণের এক আধার। ভক্তকে সিদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সুস্থিতি প্রদানে এই পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে বলে বিশ্বাস।

“শ্রীমদ দেবী ভাগবতে” উল্লেখ, যে কেউ মা ভগবতীকে বিল্বপত্র অর্পণ করলে, সে কখনও দুঃখ ভোগ করে না। ভক্তদের সিদ্ধি প্রদান করে থাকে এই পাতা। বিগত জন্মের পাপ থেকে মুক্তি দেয়। দেবাদিদেব মহাদেবের প্রিয়পাত্র বানায়। পূরণ হয় মনোস্কামনাও।

Continues below advertisement

“শিব পুরাণে” বেলপাতাকে শিব ও শক্তির প্রতীক রূপে বলা হয়েছে। ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, বিল্ববৃক্ষের উৎপত্তি মা পার্বতীর ললাটের ঘাম থেকে, মন্দার পর্বতের উপর হয়েছে।

কথিত রয়েছে, বেলপাতা চার রকমের। অখণ্ড বিল্বপত্র। ত্রিপত্র বিল্বপত্র। ছয় থেকে একুশ পাতার বিল্বপত্র এবং শ্বেত বিল্বপত্র। প্রতিটির আধ্যাত্মিক মহত্ব রয়েছে পৃথক পৃথক।

অখণ্ড বিল্বপত্রকে “বিল্বাষ্টকে” লক্ষ্মী-সিদ্ধ বলা হয়েছে। এটি একমুখী রুদ্রাক্ষের মতোই দুর্লভ ও শক্তিশালী। “বিল্বাষ্টকে” বলা হয়েছে, অখণ্ড বিল্বপত্রং নন্দকেশ্বরে সিদ্ধর্থ লক্ষ্মী“। এটি নিজে নিজেই লক্ষ্মী সিদ্ধ। একমুখী রুদ্রাক্ষের মতো এটির আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। বাস্তুদোষ নিবারণও করে। এর ব্যবহারে জীবনে চতুর্মুখী বিকাশ ঘটে।

“বিল্বাষ্টক” মোতাবেক, তিন পত্র সম্বলিত বিল্বপত্র ত্রিগুণ যথা সত, রজ, তম এবং ত্রিনেত্র যথা শিবের প্রতীক। ধুতুরা ফুলের সঙ্গে এর অর্পণে ধর্ম, অর্থ, মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে।

ছয় থেকে ২১-পাতার বিল্বপত্রকে দুর্লভ মানা হয়। নেপালে মেলে। ভারতেও কোথাও কোথাও পাওয়া যায় বলে খবর। রুদ্রাক্ষের সমান এর মহত্ব। শ্বেত বিল্বপত্রকেও প্রকৃতির অমূল্য দান বলে ধরে নেওয়া হয়। এর রং সাদা এবং শিবের অর্চনায় অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

প্রাচীন সময়ে বেলকে শ্রীফল বলা হত। মা লক্ষ্মীর প্রিয় এই ফল। বিশ্বাস, বেলগাছে স্বয়ং মা লক্ষ্মী বাস করেন। তথ্যসূত্র - IANS