Sri Ramakrishna: ইহজীবনেই ভোগ করতে হবে কর্মফল, উপমায় বুঝিয়েছেন শ্রীরামকৃষ্ণ

আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছেন শ্রীরামকৃষ্ণদেব। গৃহস্থ হয়েও ঈশ্বরলাভ সম্ভব, তাঁর জন্য সংসার ত্যাগ করে সাধু হতে হবে না, এ ধারণা প্রোথিত করেছেন রামকৃষ্ণদেব। ছবি- বেলুড় মঠ

রোজকার জীবনের নানা বাধা-বিঘ্ন থেকে মনকে দূরে রাখতে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণী উপদেশ আমাদের অনেকভাবে অবলম্বন যোগায়। ছবি- বেলুড় মঠ

শিষ্যদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় নানাভাবে নানা বিষয় নিয়ে খুব সুন্দর উপমা দিয়ে জীবনের সারসত্য বোঝাতেন শ্রীরামকৃষ্ণ। ছবি- বেলুড় মঠ

ঈশ্বর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভগবান সকলকার ভেতর কীরূপে বিরাজ করেন জান? যেমন চিকের ভেতর বড়লোকের মেয়েরা থাকে৷ তারা সকলকে দেখতে পায়, কিন্তু তাদের কেউ দেখতে পায় না; ভগবান ঠিক সেইরূপে বিরাজ করছেন৷' ছবি- বেলুড় মঠ

পরমহংসদেব এও বলেন, 'যার যেমন ভাব তার তেমনি লাভ; ভগবান কল্পতরু৷ তাঁর কাছে যে যা চায়, সে তা–ই পায়৷' ছবি- বেলুড় মঠ

এই সংসারে থেকেও কীভাবে ঈশ্বরলাভ সম্ভব ? উত্তর আছে শ্রীরামকৃষ্ণের কথামৃতে। তিনি বলেন- 'হিন্দুস্থানি মেয়েরা মাথায় করে ৪-৫ টি জলভরা কলসি নিয়ে যায়৷ পথে আত্মীয় লোকদের সঙ্গে গল্প করে, সুখ–দুঃখের কথা কয়, কিন্তু তাদের মন থাকে মাথার কলসির ওপর, যেন সেটি পড়ে না যায়৷ ছবি- বেলুড় মঠ

তেমনি ধর্মপথের পথিকদেরও সকল অবস্থার ভেতরে ঐ রকম দৃষ্টি রাখতে হবে, মন যেন তাঁর পথ থেকে পড়ে না যায়৷' ছবি- বেলুড় মঠ

জগতে মানুষ যে রকম কাজ করবে, তাঁর ফলও সেই রকমই ভোগ করবে। এর কোনও অন্যথা ঘটে না। শ্রীরামকৃষ্ণের কথাতেও একই সুর যেন। ছবি- বেলুড় মঠ

কর্মফল প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেন, 'পাপ আর পারা কেউ হজম করতে পারে না৷ যদি কেউ লুকিয়ে পারা খায়, তা হলে কোনো দিন না কোনো দিন গায়ে ফুটে বেরোবে৷ পাপ করলেও তেমনি তার ফল একদিন না একদিন নিশ্চয় ভোগ করতে হবে৷' ছবি- বেলুড় মঠ

আবার অন্য একটা গল্পের আধারে ঠাকুর আমাদের বলেন, 'গুটিপোকা যেমন অপনারই নালে ঘর করে আপনি বদ্ধ হয়, তেমনি সংসারী জীব আপনার কর্মে আপনি বদ্ধ হয়৷ যখন প্রজাপতি হয়, তখন কিন্তু ঘর কেটে বেরোয়, তেমনি বিবেক–বৈরাগ্য হলে বদ্ধজীব মুক্ত হয়ে যায়৷' ছবি- বেলুড় মঠ তথ্যসূত্র- শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ / স্বামী ব্রহ্মানন্দ, ছবি সৌজন্য- বেলুড় মঠ