Tarakeswar Temple: রাজার স্বপ্নে এসে মন্দির প্রতিষ্ঠার নির্দেশ মহাদেবের, তারকেশ্বরের অজানা কাহিনী
ভারতবর্ষের যে কয়েকটি জাগ্রত মন্দির রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো দেবাদিদেব মহাদেবের তারকেশ্বর মন্দির। মনে করা হয়, এই মন্দিরে যদি কোনো ভক্ত মানস করে বাবা ভোলানাথের পুজো করে থাকে তাহলে তার মনস্কামনা নিশ্চিত রূপে পূরণ হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতাই দূর দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে ভক্তের আনাগোনা লেগেই থাকে। বিশেষ করে এই শ্রাবণ মাসের প্রত্যেকটি দিন, শিবরাত্রির দিন, চৈত্র সংক্রান্তির দিন এবং প্রত্যেক সোমবার দিন লক্ষাদিক ভক্তের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এই তারকেশ্বর শিবমন্দিরে।
কি এমন রয়েছে এই প্রাচীন শিব মন্দিরে? কেনই বা এখানে দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল ভক্তের সমাগম হয়? ইতিহাস এবং পৌরাণিক বিশ্বাস থেকে বলা হয়, ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে হুগলী জেলার রামনগর অঞ্চলে বিষ্ণুদাস নামে এক স্থানীয় ক্ষত্রিয় রাজা রাজত্ব করতেন, রাজার ভাই ভারমল্ল ছিলেন সংসারবিবাগী যোগী।
যেখানে তারকেশ্বরের মন্দির, সেই অঞ্চলের নাম তখন ছিল তাড়পুর। বিষ্ণুদাসের ভাই ভারমল্ল রোজ বনে যেতেন ফলমূল ও মধু সংগ্রহ করতে। প্রায়ই তিনি লক্ষ করতেন একটি বড় কালো রঙের শিলাখণ্ডের ওপর গাভীরা এসে দুধ দিয়ে য়ায়। এই অদ্ভুত ঘটনা তিনি তাঁর দাদাকে বলেন। শিবভক্ত বিষ্ণুদাস বনে এসে এই দৃশ্য দেখে শিহরিত হন।
রাজা ভারামল্ল তখন ঐ শিলাস্তম্ভকে শিব লিঙ্গরূপে রামনগরে এনে প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হলেন। কিন্তু অনেক মাটি খুঁড়ে ও পাথরের মূল খুঁজে পাওয়া গেল না।
এরপরের জনশ্রুতি, সেইসময় কোন এক রাতে রাজার ভাই ভারামল্ল স্বপ্ন দেখলেন, স্বয়ং শিব তাঁকে জানাচ্ছেন যে, তিনি তারকেশ্বর শিব। তিনি ঐ বন থেকে গয়া ও কাশী পর্যন্ত ছড়িয়ে আছেন। সুতরাং তাঁকে তাড়পুরের জঙ্গল থেকে উচ্ছেদ না করে ওখানেই তাঁকে প্রতিষ্ঠা করা হোক।
এরপর স্বপ্নাদিষ্ট ভারামল্ল ও মুকুন্দরাম রাজার সহযোগিতায় বন কেটে পরিষ্কার করে তাড়পুরেই পাথরের স্তম্ভের উপর একটি মন্দির নির্মাণে ব্রতী হলেন। মুকুন্দ ঘোষকে শিবের সেবা পুজো করবার ভার অর্পণ করা হয়। তিনিই হলেন তারকনাথের প্রথম সেবক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -