অক্ষয় তৃতীয়ায় কেন খোলা হয় কেদারনাথের মন্দির? দিনটির সঙ্গে সম্পর্কই বা কী
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, মহাভারতের পাণ্ডবা কেদারনাথ মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পরে আত্মগ্লানি ও শোক দূর করতে এইখানেই ভগবান শিবের কাছে ক্ষমা চান তাঁরা। তারপর এগিয়ে যান স্বর্গের উদ্দেশে। মনে করা হয়, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই নাকি এস্থানে প্রথম পুজো করা হয়েছিল ভগবান শিবের। তাই প্রাচীনকাল থেকে শিব অবতার পরশুরামের জন্মদিন অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই মন্দির খোলার চেষ্টা হয়। আর বারবার তা পূরণও হয়। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিশ্বাস করা হয়, এর আগে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার জন্য মন্দির খোলা না থাকলেও অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির খুলতে কোনও সমস্যা হয় না। আসলে অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যতিথির গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে খুব শ্রদ্ধা ও সমীহের সঙ্গে মানা হয়। আদ্যাশক্তির অনন্য রূপ মা অন্নপূর্ণার আর্বিভাব নাকি এই বিশেষ তিথিতেই হয়েছিল। যা দিনটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মানুষদের কাছে।(ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
সংস্কৃতে অক্ষয় শব্দের মানে, যার কোনও ক্ষয় নেই। হাজার বছরের বেশি সময় ধরে হিমালয়ের দুর্গম জায়গায় অবস্থানের পরে বা বারবার প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেও কেদারনাথ মন্দির অক্ষয় থেকে প্রমাণ করেছে তার ক্ষয় নেই। যার সর্বশেষ জলজ্যান্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে ২০১৩ সালে। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
২০১৩-এ আচমকা প্রবল বন্যার ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কেদারনাথ ধামের সংলগ্ন এলাকা। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মন্দাকিনী নদীর ভয়াবহ তাণ্ডবে ছারখার হয়ে গেছিল চারিদিক। মৃত্যু হয়েছিল প্রচুর মানুষের। কিন্তু, অলৌকিকভাবে বিশাল বড় একটি শিলা এসে মন্দিরকে এমনভাবে সেই তাণ্ডব থেকে রক্ষা করেছিল। যার কোনও উত্তর আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি বিজ্ঞানও। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
বর্তমানে ওই শিলাটিকে ভীম শিলা নামে ভগবান জ্ঞানে পুজো করেন কেদারনাথ ধামে দর্শন করতে যাওয়া ভক্তরা। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি প্রকৃতির অদ্ভুত লীলা বলে স্বীকার করওতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি অনেকে নানা পরীক্ষা করে বুঝতে পেরেছেন যে মন্দিরটি তৈরির সময়ই এমন কিছু পদ্ধতি মানা হয়েছে যার জন্য এতদিন পরেও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি মূল মন্দির কাঠামোর। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
বর্তমানে ওই শিলাটিকে ভীম শিলা নামে ভগবান জ্ঞানে পুজো করেন কেদারনাথ ধামে দর্শন করতে যাওয়া ভক্তরা। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি প্রকৃতির অদ্ভুত লীলা বলে স্বীকার করওতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি অনেকে নানা পরীক্ষা করে বুঝতে পেরেছেন যে মন্দিরটি তৈরির সময়ই এমন কিছু পদ্ধতি মানা হয়েছে যার জন্য এতদিন পরেও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি মূল মন্দির কাঠামোর। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
বিষয়টি শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকলেও মনে করা হয় অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দরজা খোলার উপর মন্দিরের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে। হাজার বছরের বেশি সময় ধরে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ্য করেও নিজের জায়গায় অনড় রয়েছে বাবা কেদারনাথের মন্দির। (ছবি সৌজন্য-পিটিআই)
শুক্রবার সেই মন্দিরের দরজা খোলা উপলক্ষে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছিল কেদারনাথে। স্ত্রী গীতাকে নিয়ে হাজির ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও। চারধাম যাত্রার শুভ সূচনায় সমস্ত ভক্তকে আন্তরিক স্বাগত ও অভিনন্দন জানান তিনি। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)
এই বছর মন্দিরের দরজা খোলা উপলক্ষে ৪০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো পরিকাঠামো। শুক্রবার ভোর থেকে শাস্ত্রীয় রীতিনীতি ও বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেছিল দরজা খোলার প্রক্রিয়া। আর দরজা খুলতেই ধীরে ধীরে তাতে প্রবেশ করে নিজেদের আরাধ্যকে দর্শন করেন ভক্তরা। (ছবি সৌজন্য- পিটিআই)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -