'মুখে দেওয়ার পর হয় হাল্কা ঘাম, আসে অফুরন্ত এনার্জি' - রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে লেখা ড্রাগ নিলে আর কী হয় জানেন?
এলএসডি’ হল ‘লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়াথিলামাইড’। গবেষকরা বলছেন, এলএসডি নেওয়ার পর হ্যালুসিনেশন হয়। ড্রাগ ব্যবহারকারী পৃথিবীর ‘ইগো ডিসোল্যুশনে’ চলে যান। কিন্তু, একই সঙ্গে এলএসডির প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতদন্তকারীদের বক্তব্য, MDMA হল মিথাইলিন ডাইঅক্সি মেথাঅ্যাম্ফিটামাইন একটা ট্যাবলেটের দাম আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্যাবলেট চোষার মিনিট পনেরো-কুড়ির মধ্যে হাল্কা ঘাম হয় শরীরে। অফুরন্ত এনার্জিতে চাঙ্গা লাগে শরীর-মন। সহজে ঘুম আসবে না।
একটু পরেই গৌরব ফের লেখে, সরি, ওই লোকটা আমাকে বিরক্ত করছিল। কিন্তু, আমি তোমাকে বা তোমার বাবাকে বিরক্ত করতে চাই না। এরপর রিয়া লেখেন, হার্ড ড্রাগের কথা বললে, আমি বেশি টেস্ট করিনি। একবার LSD নিয়েছি, একবার MDMA। গৌরব রিয়াকে প্রশ্ন করে, তুমি MD নাওনি?
তদন্তকারীদের দাবি, সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে থেকেই রিয়ার ড্রাগ-লিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে। ২০১৭ সালে গৌরব আর্য নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে রিয়ার কথা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, ২০১৭ সালের ৮ মার্চ গৌরবের উদ্দেশে রিয়া লেখেন, সবাই জানতে চাইছে। উত্তরে গৌরব আর্য লেখে, শুনেছি টাটকা জিনিসটা খুব ভাল হয়।
ভোর ছ’টা একে জয়া আবার হোয়াটসঅ্যাপে রিয়ার উদ্দেশে লেখেন, চার ফোঁটা যথেষ্ট। চা বা জলে মিশিয়ে ওকে খেতে বলো। কাজ হতে ৩০-৪০ মিনিট লাগবে। পরে রিয়া আবার লেখেন, দিনে একবারই দিয়েছি। তাতে জয়া সাহা লেখেন, একবার নয়, তিন-চারবারও দিতে পারো। এখানে ওকে বলতে কি সুশান্তকেই ড্রাগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? জল্পনা জোরাল হচ্ছে, কারণ ইডি সূত্রে দাবি, ইংরেজিতে হোয়াটসঅ্যাপে লেখা ছিল ‘Him’ শব্দটি। প্রশ্ন উঠছে, সুশান্তের ফ্ল্যাটের কর্মীদেরও কি হাত করেছিলেন রিয়া? তদন্তকারীদের দাবি, রিয়ার ফোনে একটি নম্বর মিরান্ডা সুশি নামে সেভ করা ছিল। যেটি সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বলে অনুমান।
জয়া সাহার মেসেজের উত্তরে ভোর পাঁচটা আটান্নয় রিয়া লেখেন, অনেক ধন্যবাদ।এরপর জয়া আবার লেখেন, কোনও অসুবিধা নেই। আশা করি, এতে সাহায্য হবে।
CBD মানে ক্যানাবিডিওল, অর্থাৎ চরসের তেল। ওষুধ এবং নেশা দু’রকমভাবেই এটি ব্যবহার করা হয়।
বন্ধু জয়া সাহার সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটটি গতবছরের ২৫ নভেম্বরের। ইডি সূত্রে দাবি, সেদিন ভোর পাঁচটা তিপ্পান্নয় রিয়াকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপে জয়া সাহা লেখেন, আমি ওয়াটার স্টোনে CBD অয়েল পাঠাচ্ছি। অফিস বয় ওয়াটার স্টোনে পৌঁছে গেছে। আমি শ্রুতিকে বলেছি, ওর সঙ্গে কথা বলে নিতে।
ইডি সূত্রে দাবি, রিয়ার মোবাইল ফোনে ড্রাগ সংক্রান্ত এরকম হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখা গিয়েছে মূলত তিন জনের সঙ্গে। তাঁর বন্ধু জয়া সাহা। যিনি একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। গৌরব আর্য নামে এক ব্যক্তি। যে মাদক কারবারী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে! এবং তৃতীয় এক ব্যক্তি, যাঁর নম্বর রিয়ার ফোনে সেভ করা ছিল মিরান্ডা সুশি নামে। এই মিরান্ডা কি আসলে সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা?
একটা মৃত্যু! আর তা ঘি রেই একাধিক তত্ত্ব! একাধিক নারী, কালা জাদু, আধ্যাত্মিক গুরু, ড্রাগ, দুবাই কানেকশন, দাউদ ইব্রাহিম...কি নেই! কিন্তু কীভাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জুড়ে গেল ড্রাগ অ্যাঙ্গেল? হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটই খুলে দিল প্যান্ডোরার বাক্স!
সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে এবার জড়িয়ে গেল ড্রাগ-অ্যাঙ্গেল। রিয়ার একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে ড্রাগ-যোগের তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
কখনও রিয়া চক্রবর্তী হোয়াটসঅ্যাপে লিখেছিলেন, একবার LSD ট্রাই করেছিলাম। আরেকবার MDMA নিয়েছিলাম। কখনও রিয়ার বন্ধু জয়া সাহা, রিয়াকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপে লিখেছিলেন, চা বা কফিতে চার ফোঁটা মিশিয়ে ওকে খেতে বলো। ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে ‘কিক’ পেয়ে যাবে। তদন্তকারীরা এখন জানতে চাইছেন, সুশান্ত সিং রাজপুত কি ড্রাগ নিতেন? রিয়া চক্রবর্তী কি সুশান্তকে ড্রাগ দিতেন? রিয়া কি ড্রাগ কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -