Mother Goddess Temple: ছুঁয়ে দিলেই সোনা! মিডাসের দেশে নয়া আবিষ্কার, তুরস্কে সন্ধান মিলল প্রাচীন মন্দির, পবিত্র গুহার

Ancient Temple in Turkey: তুরস্কে প্রাচীন মন্দিরের সন্ধান মিলল। নয়া আবিষ্কার ঘিরে শোরগোল। ছবি: Blige Yilmaz Kolanci-এর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।

ছবি: Blige Yilmaz Kolanci-এর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।

সুদূর তুরস্কে প্রাচীন মন্দিরের সন্ধান মিলল এবার। গুহার গায়ে পাথরের উপর খোদাই করা রয়েছে দেবীমূর্তি। ভিতরে সভ্যতার অন্য নিদর্শনও মিলল। মাতৃদেবীর উপাসনায় ওই মন্দিরের নির্মাণ হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতত্ববিদরা।

ওই মন্দিরটির বয়স প্রায় ২৭০০ বছর। ডেনিজলি শহরের কাছে ওই প্রাচীন মন্দির ও ‘পবিত্র’ দ্বিমুখী গুহাটির সন্ধান মিলেছে। খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ৬৫০ নাগাদ ওই মন্দিরটির নির্মাণ হয়। সেই সময় তুরস্ক ছিল আনাতোলিয়া।

প্রাচীন আনাতোলিয়ায় ফ্রিজিয়ানদের বসবাস ছিল। ওই ফ্রিজিয়ানদের আরাধ্য দেবী ছিলেন মাতৃদেবী, যিনি উর্বরতা এবং পরিবেশের দেবী হিসেবে গণ্য হতেন। Materan, Matar, Cybele, এমন একাধিক নামে পরিচিত ওই দেবী। প্রাচীন কালে গ্রিক এবং রোমানরাও ওই দেবীর পুজো করতেন।

শোনা যায়, ফ্রিজিয়ানদের রাজত্ব শেষ হওয়ার পরও মাতৃদেবীর আরাধানায় ভাঁটা পড়েনি। ফ্রিজিয়ানদের রাজা মিডাসের কথা সর্বজনবিদিত। তিনি যাতে হাত দিতেন, তা সোনায় পরিণত হতো, সেই মর্মে বর পেয়েছিলেন বলে কথিত রয়েছে পৌরাণিক কাহিনিতে।

ডেনিজলি শহরের কাছে খোঁড়াখুঁড়িতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অধ্যাপক Blige Yilmaz Kolanci. Live Science-কে তিনি জানিয়েছেন, ফ্রিজিয়ান আমলের একটি সৌধ রয়েছে ওই পবিত্র গুহায়। জোড়া পাথরে খোদাই করা রয়েছে দেবীমূর্তি।

Continues below advertisement

তরল পরিবেশনের অসংখ্য পাত্র নিকাশি ব্যবস্থারও খোঁজ মিলেছে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে। Kolanci জানিয়েছেন, প্রাচীন রীতি নীতি অনুযায়ী, ওই পাত্রে তরল ঢেলে পরিবেশন করা হতো।

এখনও গবেষণা শেষ হয়নি। তাই বিশদ তথ্য প্রকাশ করেননি প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তবে ওই সৌধের বয়স ২৮০০ থেকে ২৬০০ বছর বলে জানিয়েছেন তিনি। সেটি মাতৃমূর্তি বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক এমিরেটাস লিন রোলারও এ ব্যাপারে একমত। ফ্রিজিয়ান সৌধের সঙ্গে নয়া আবিষ্কৃত ওই সৌধের মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্য মিডাস সিটি বা ফ্রিজিয়ান সাইটে যে সমস্ত আবিষ্কৃত মূর্তির সঙ্গে পাথরে খোদাই মূর্তিটির মিল রয়েছে বলে মনে করছেন লিন। কিন্তু যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে মূর্তিটি, সেটি থেকে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছে না বলে মত তাঁর।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত এবং ভলা করে পরীক্ষা করে দেখা উচিত বলে মত লিনের। তাঁর মতে, ফ্রিজিয়ান সংস্কৃতির অন্যতম মূল কেন্দ্র হয়ে থাকতে পারে ওই সৌধটি। পাহাড়ি এলাকায় এমন সৌধ ফ্রিজিয়ান যুগের নির্মাণ বলেও মত তাঁর।

তুরস্কের পামুক্কালে পাহাড়ির চূড়ায় এক সময় প্রাচীন শহর হিয়েরাপোলিস অবস্থিত ছিল। বহু বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন ইতালির প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাঁরাও ফ্রিজিয়ান যুগের সৌধ পান খোঁড়াখুঁড়িতে। নতুন আবিষ্কারটি নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হতে চলেছে। ছবি: Blige Yilmaz Kolanci-এর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।