Fox-Cat: বিড়াল না শেয়াল, বোঝা দায়, জীবজগতে নয়া সংযোজন ‘ক্য়াট-ফক্স’!

Science News: জীবজগতে আরও এক উপপ্রজাতির সংযোজন। এতদিন অস্তিত্ব ছিল লোককথায়। এ বার মিলছে বৈজ্ঞানিক বৈধতা।

ছবি: পিক্সাবে।

1/10
কয়েকশো বছর ধরে লোককথায় তাদের আনাগোনা ছিল। মানুষ জনের মুখে মুখে ফিরত নানা কাহিনী। কিন্তু সবকিছুকেই আজগুবি বলে উড়িয়ে দেওয়া হতো।
2/10
কিন্তু তথাকথিত সেই আজগুবি আখ্যানই এ বার বৈজ্ঞানিক বৈধতা পেতে চলেছে। জীবজগতে ‘ক্যাট-ফক্স’ নামের নয়া উপপ্রজাতির আগমন ঘটছে।
3/10
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্গত কর্সিকা দ্বীপের লোককথায় ‘ক্যাট-ফক্স’-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানকার রাখাল ছেলেদের মুখে মুখে ফিরত তার রূপ, আচরণের বর্ণনা।
4/10
ভেড়া এবং ছাগলের মাংস খেয়ে ‘ক্যাট-ফক্স’রা বেঁচে থাকত বলে শোন যায় কর্সিকার লোককথায়। ২০১৯ সালে এমন একটি হামলার ঘটনাও উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।
5/10
এত দিনে ‘ক্যাট-ফক্স’ বৈজ্ঞানিক বৈধতা পেতে চলেছে। ১৯২৯ সালে প্রথম বার ‘ক্যাট-ফক্স’-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে নথিবদ্ধ উল্লেখ পাওয়া যায়। তার প্রায় ১০০ বছর পর, এ বার সেটিকে উপপ্রজাতি ঘোষণা করা হচ্ছে।
6/10
এই ‘ক্যাট-ফক্স’ হল আসলে কর্সিকার এক ধরনের বন্য় বিড়াল। তাদের গায়ের রং শেয়ালের মতো। পুরুষ্টু, লম্বা লেজও রয়েছে।
7/10
তবে নাম শুনে যা-ই মনে হোক না কেন, এরা মোটেই বিড়াল বা শেয়ালের শঙ্কর প্রজাতি নয়। বরং তাদেরকে বিড়াল বলারই পক্ষপাতী গবেষকরা। বনবিড়াল এবং গার্হস্থ্য বিড়ালের সারিতেই ‘ক্যাট-ফক্স’-কে রাখার পক্ষপাতী তাঁরা। তবে তাদের প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে।
8/10
‘ক্যাট-ফক্স’-কে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতি বলে খবর ছড়ায়। কিন্তু তাতে সত্যতা ছিল না। কারণ মলিকিউলার ইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, কর্সিকার ‘ক্যাট-ফক্স’ আসলে একটি উপপ্রজাতি।
9/10
এই বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছিল ফ্রান্সের জীববৈচিত্র্য বিভাগ। সম্প্রতি তার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে ‘ক্যাট-ফক্স’-এর প্রজননের সঙ্গে সার্ডিনিয়ার বনবিড়ালের মিল রয়েছে বলে জানানো হয়।
10/10
তবে কর্সিকার ‘ক্যাট-ফক্স’-এর শরীরে ইউরোপীয় বিড়ালের তুলনায় কম ডোরাকাটা দাক রয়েছে। তাদের মধ্যে ঠিক কী কী পার্থক্য, তা-ও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তবে কর্সিকার ‘ক্যাট-ফক্স’ নদীতে নেমে মাছও ধরতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
Sponsored Links by Taboola