Fox-Cat: বিড়াল না শেয়াল, বোঝা দায়, জীবজগতে নয়া সংযোজন ‘ক্য়াট-ফক্স’!
কয়েকশো বছর ধরে লোককথায় তাদের আনাগোনা ছিল। মানুষ জনের মুখে মুখে ফিরত নানা কাহিনী। কিন্তু সবকিছুকেই আজগুবি বলে উড়িয়ে দেওয়া হতো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু তথাকথিত সেই আজগুবি আখ্যানই এ বার বৈজ্ঞানিক বৈধতা পেতে চলেছে। জীবজগতে ‘ক্যাট-ফক্স’ নামের নয়া উপপ্রজাতির আগমন ঘটছে।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্গত কর্সিকা দ্বীপের লোককথায় ‘ক্যাট-ফক্স’-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানকার রাখাল ছেলেদের মুখে মুখে ফিরত তার রূপ, আচরণের বর্ণনা।
ভেড়া এবং ছাগলের মাংস খেয়ে ‘ক্যাট-ফক্স’রা বেঁচে থাকত বলে শোন যায় কর্সিকার লোককথায়। ২০১৯ সালে এমন একটি হামলার ঘটনাও উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে।
এত দিনে ‘ক্যাট-ফক্স’ বৈজ্ঞানিক বৈধতা পেতে চলেছে। ১৯২৯ সালে প্রথম বার ‘ক্যাট-ফক্স’-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে নথিবদ্ধ উল্লেখ পাওয়া যায়। তার প্রায় ১০০ বছর পর, এ বার সেটিকে উপপ্রজাতি ঘোষণা করা হচ্ছে।
এই ‘ক্যাট-ফক্স’ হল আসলে কর্সিকার এক ধরনের বন্য় বিড়াল। তাদের গায়ের রং শেয়ালের মতো। পুরুষ্টু, লম্বা লেজও রয়েছে।
তবে নাম শুনে যা-ই মনে হোক না কেন, এরা মোটেই বিড়াল বা শেয়ালের শঙ্কর প্রজাতি নয়। বরং তাদেরকে বিড়াল বলারই পক্ষপাতী গবেষকরা। বনবিড়াল এবং গার্হস্থ্য বিড়ালের সারিতেই ‘ক্যাট-ফক্স’-কে রাখার পক্ষপাতী তাঁরা। তবে তাদের প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে।
‘ক্যাট-ফক্স’-কে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতি বলে খবর ছড়ায়। কিন্তু তাতে সত্যতা ছিল না। কারণ মলিকিউলার ইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, কর্সিকার ‘ক্যাট-ফক্স’ আসলে একটি উপপ্রজাতি।
এই বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছিল ফ্রান্সের জীববৈচিত্র্য বিভাগ। সম্প্রতি তার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে ‘ক্যাট-ফক্স’-এর প্রজননের সঙ্গে সার্ডিনিয়ার বনবিড়ালের মিল রয়েছে বলে জানানো হয়।
তবে কর্সিকার ‘ক্যাট-ফক্স’-এর শরীরে ইউরোপীয় বিড়ালের তুলনায় কম ডোরাকাটা দাক রয়েছে। তাদের মধ্যে ঠিক কী কী পার্থক্য, তা-ও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তবে কর্সিকার ‘ক্যাট-ফক্স’ নদীতে নেমে মাছও ধরতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -