Solar Storm: প্রায় ২৪ ঘণ্টা রক্ষাকবচহীন পৃথিবী, তাতেই প্রবল বেগে আছড়ে পড়ল সৌরঝড়
পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ল প্রবল শক্তিশালী সৌরঝড়। ২৪ মার্চ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছে সেটি। অথচ ঘুণাক্ষরেও তা টের পাননি আবহবিদদরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভূ-চৌম্বকীয় ওই সৌরঝড়কে প্রবল শক্তিশালী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমেরিকার ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেটিকে সর্বোচ্চ মাপকাঠির নিরিখে পঞ্চম স্তরে মধ্যে চতুর্থ স্তরে রেখেছে, বিগত ছ’বছরে যা তীব্রতম।
তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে, নিউ মেক্সিকো তো বটেই, অস্ট্রেলিয়া থেকেও চোখে পড়ছে রঙিন মেরুজ্যোতি।
অতর্কিতে আছড়ে পড়া এই সৌরঝড়ের প্রভাবে একটি সংস্থার মহাকাশ যানের উড়ানেও ৯০ মিনিট দেরি হয়ে যায়।
সূর্যের বাইরের স্তরের প্লাজমার আবরণ থেকে উচ্চচাপযুক্ত তড়িদাহত কণা যখন সৌরজতে ছড়িয়ে পড়ে, তাকেই বলে সৌরঝড়। কিন্তু এত বড় ঘটনা বিজ্ঞানীরা কী করে টের পেলেন না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
যদিও ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাকাশ আবহবিদদের দাবি, এমন সৌরঝড়ে ইঙ্গিত তাঁরা পেয়েছিলেন। কিন্তু তার তীব্রতা দ্বিতীয় পর্যায়েই থাকবে বলে মনে হয়েছিল।
২৩ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে সৌরঝড় মহাকাশে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা ছিল বিজ্ঞানীদের। কিন্তু এত শীঘ্র, এত প্রবল ভাবে সেটির আঁচ পৃথিবীতে এসে পড়বে, তা বোঝা যায়নি।
এই সৌরঝড়ের ফলে মহাজাগতিক আবহাওয়াতেও পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। সৌরঝড়ের ফলে রেডিও যোগাযোগ, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটে।
এই সৌরঝড়ের ফলে মহাকাশে থাকা কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা, জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সৌরঝড়ের আগামী ইঙ্গিত কেন মিলল না, তার সপক্ষে নানা যুক্তি উঠে আসছে।
বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, ২৩ মার্চ পৃথিবীকে চারপাশে ঘিরে থাকা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের আচমকা অবস্থান বদলেই সৌরঝড়ের সূচনা ঘটে। সেই সময় দক্ষিণমুখী চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি পৃথিবীর চুম্বকমণ্ডল বরাবর একটি ফাটল তৈরি করে। তাতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পৃথিবীক কোনও রক্ষাকবচ ছিল না। তাতেই প্রবল শক্তিশালী সৌরঝড় পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -