Diamond Origin: কয়লা থেকেই কি উৎপত্তি হিরের? অন্য কথা বলছে বিজ্ঞান
শুধু প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশই নয়, যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতাকে সম্পদের জোগান দিয়ে আসছে পৃথিবী। সেই তালিকায় রয়েছে বহুমূল্য হিরেও। কয়লা খনির আঁধার চিরেই মানুষের হাতে এসে পৌঁছ। ঝকঝকে হিরে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু কয়লা খনিতে ঢুকলেই হিরের সন্ধান মিলবে, বা কয়েক হাত খুঁড়লেই মাটির নিজে রত্নভাণ্ডার মিলবে, এমন ভাবা ভুল। কারণ হিরের উৎপত্তির নেপথ্যেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ।
ভূবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মাটির বহু নীচে মহাদেশীয় পাতগুলির চলাচল থেকেই উৎপত্তি হিরের। যখন কোনও মহাদেশীয় পাতে ফাটল ধরে, তা থেকে নির্গত লাভা তীব্র বেগে ভূপৃষ্ঠের দিকে ধাবিত হয়। সেই থেকেই ফোয়ারার আকারে মাটির বিভিন্ন স্তরে ছিটকে পড়ে আটকে যায় হিরে।
ভূবিজ্ঞানীদের দাবি, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয় হিরে। বিভিন্ন মহাদেশীয় পাত যখন অবস্থান পরিবর্তন করে বা নড়চড়া করে, সেই সময় ফাটল ধরে তাতে।
এর পর পাতের মাঝ বরাবর ফাটল দিয়ে বেরিয়ে উপরের দিকে ধাবিত হয় লাভা। সেই সময় তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ১৩৩ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ঊর্ধ্বমুখে ধাবিত এই লাভাকে বলা হয় কিম্বারলাইটস, যা আসলে বিরল প্রকৃতির, মোটা দানাযুক্ত আগ্নেয় শিলা। এই শিলাই হিরে ধারণ করে।
হিরে তৈরির সময় তাপমাত্রা যেমন অত্যধিক বেশি হয়, তেমন চারপাশ থেকে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। তাপমাত্রার পারদ থাকে মোটামুটি ১০৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে ভূগর্ভের সর্বত্র হিরে তৈরি হয় না। স্থিতশীল পরিবেশ যেখানে, সেখানেই হিরে তৈরি হয়। নির্গত লাভার সঙ্গে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে আসে। কয়লা খনির গভীরতা সাধারণত বেশি হয়। খুঁড়ে কয়লা বের করার সময় হাতে মেলে হিরে।
কয়লা থেকে হিরের উৎপত্তি বলে অধিকাংশেরই ধারণা। কিন্তু কয়লা আদতে একধরনের পাললিক শিলা। গাছ-পাতা জমে জমে তৈরি হয়। হিরে তৈরির মূল উপাদান কার্বন।পৃথিবীর অভ্যন্তরে যে কার্বন মজুত রয়েছে, হিরে তৈরি হয় তা থেকেই। ওই কার্বন আসে চুনাপাথর, মার্বেল এবং ডলোমাইট থেকে।
শুধু পৃথিবীতেই নয়, মহাশূন্য থেকে তীব্র গতিতে নেমে আসা উল্কাখণ্ডের মধ্যেও ক্ষুদ্র হিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রহাণুর মধ্যেও হিরের সন্ধান মিলেছে। তবে পৃথিবীতে প্রাপ্ত হিরের তুলনায় সেগুলি আকারে অনেকটাই ছোট।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -