Science News: রাতে গাছপালার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কুসংস্কার নয়, রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কার্যকারণ...
রাতের বেলা গাছের কাছে না ঘেঁষা, রাতের বেলা গাছের পাতা না ছেঁড়ার কথা বহুবার শুনেছি আমরা। এ নিয়ে একাধিক তত্ত্বও সামনে এসেছে। রাতের বেলা গাছেরা বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে, তার মধ্যে অন্যতম। এ নিয়ে বিজ্ঞান কী বলে জানুন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাতে উদ্ভিদের শ্বসনক্রিয়া চলে। দিনের বেলা চলে সালোকসংশ্লেষ। বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড, মাটি থেকে জল এবং সূর্যালোক নিয়ে নিজের জন্য শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি করে গাছেরা।
সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে আলোকশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করে উদ্ভিদ। এর পর আসে শ্বসনক্রিয়া। শ্বসনের আওতায়, শর্করাজাতীয় খাদ্যকে শক্তিতে পরিণত করে উদ্ভিদ। এই সময় কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলের নির্গমন ঘটে।
উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া যেমন দিনের বেলা ঘটে, তেমনই শ্বসন ক্রিয়া চলে রাতের বেলায়। অর্থাৎ রাতের বেলা উদ্ভিদের শরীর থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে মিশে যায়।
দিনের বেলা সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয় উদ্ভিদ। সেই সময়ও শ্বসনক্রিয়া চলে উদ্ভিদের। কিন্তু সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন বাতাসে ছাড়ে উদ্ভিদ। রাতের বেলা আবার বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে।
তাই রাতের বেলা গাছের কাছে ঘেঁষতে বারণ করেন অনেকে। অতিরিক্ত কার্বন ডাইউ অক্সাইডের সংস্পর্শে এলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে বলেই সতর্ক করা হয়।
তবে গাছের পাতা, শিকড়, কাণ্ডের মাধ্যমে পৃথক প্রক্রিয়ায় বাতাসে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের। গাছের পাতায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে, যাকে বলা হয় স্টোমাটা। কাণ্ডের ছিদ্রগুলিকে লেন্টিসেল বলা হয়। আবার মাটির মধ্যে যে শিকড় থাকে, তা মাটির কণার শূন্যস্থান থেকে বায়ু শোষণ করে।
হাতেনাতে উদ্ভিদের এই শ্বসনক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব। এর জন্য ছোট গাছ বা তাজা ফুল অথবা তাজা পাতা নিন। গাছ থকে ঝরে যাওয়া পাতা বা ফুল নয়, তাজা গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা পাতা বা ফুল লাগবে।
কাচের পাত্রে জল নিয়ে পাতা বা ফুলচিকে উপরে ভাসতে দিন। তবে কিছুটা অংশ যেন জলের নীচে নিমজ্জিত থাকে। ঘণ্টাখানেক পর ভাসমান পাতাটির উপরের অংশচি পর্যবেক্ষণ করুন। দেখবেন, পাতা বা ফুলের পাপড়ির উপর বুদবুদ সৃষ্টি হয়েছে।
অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড জলের তুলনায় হালকা হয়। ফলে পাতা বা ফুল জলে নিমজ্জিত থাকার দরুণ তা থেকে নির্গত অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সাময়িক ভাবে বন্দি হয়ে যায়। পাতা বা ফুলটি তুলে ঝাড়লে ওই বুদবুদ গায়েব হয়ে যাবে। জলে ডুব দিয়ে মানুষ যখন নিশ্বাস ছাড়ে, একই রকম ভাবে বুদবুদ তৈরি হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -