Science News:প্রজন্মের ব্য়বধানে বদলেছে মানবমস্তিষ্কের আয়তন, কেন 'আশার আলো' নতুন গবেষণায়?
মস্তিষ্কের কথা ভেবেছেন? যদি ভেবে থাকেন, তা হলে আরও একবার ভাবুন, কারণ নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, প্রজন্মের ব্যবধানে পাল্টে গিয়েছে মানবমস্তিষ্কের আয়তন। আর তাতে আখেরে লাভের সম্ভাবনা, বলছেন গবেষকরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকীরকম লাভ? গবেষকদের কারও কারও মতে, এই বদলের ফলে সার্বিক ভাবে 'ডিমেনশিয়া'-র মতো সমস্যা কমতে পারে ভবিষ্যতে। তবে এসব পূর্বাভাসে সিলমোহর দেওয়ার জন্য আরও গবেষণা জরুরি। যদিও আপাতত, যতটুকু জানা গিয়েছে তাতেই চমকে উঠেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী নিয়ে এত উৎসাহী গবেষকরা? তা হলে নজর বোলানো যাক 'JAMA Neurology' শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে। সেখানে, ৫৫-৬৫ বছরের ৩ হাজার অংশগ্রহণকারীর মস্তিষ্কের 'ইমেজ' বিশ্লেষণ করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস হেলথের একদল গবেষক।
সেই বিশ্লেষণ থেকে তাঁদের বক্তব্য, তিরিশের দশকে যাঁরা জন্মেছিলেন তাঁদের নিরিখে জেনারেশন 'এক্স' অর্থাৎ যাঁরা সত্তরের দশকে জন্মেছেন তাঁদের মস্তিষ্কের সার্বিক আয়তন অন্তত ৬.৬ শতাংশ বেশি। আরও একটু তলিয়ে দেখা যাক?
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস হেলথের ওই গবেষকদের বক্তব্য, সার্বিক ভাবে জেনারেশন 'এক্স'-র হোয়াইট ম্যাটারের আয়তন ৮ শতাংশ বেশি। আর গ্রে ম্যাটার পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশ ধরে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, হিপোক্যাম্পাস, যা কিনা স্মৃতি ও শিখনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তার আয়তনও জেনারেশন 'এক্স'-এর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় সার্বিক ভাবে ৫.৭ শতাংশ বেড়েছে।
উচ্চতা, বয়স এবং পুরুষ-নারী--এই বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করেও এই পরিবর্তন ধরা পড়েছে, দাবি গবেষকদলের। দলটির প্রধান, চার্লস দেকার্লির কথায়, 'কে কোন দশকে জন্মেছেন, তা তাঁর মস্তিষ্কের আয়জন ও সার্বিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ধারণ করছে।'
গবেষকদলের ব্যাখ্যা, এর নেপথ্যে জিনের কারিকুরি থাকতে পারে। তবে তাঁদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, কিছু অন্য়ান্য বিষয়-যেমন সমাজ, সংস্কৃতি এবং স্বাস্থ্য--এই বদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এই পরিবর্তনে আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, মস্তিষ্কের আয়তন বাড়লে আখেরে বয়সজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়তে পারে। সার্বিক ভাবে এর ফলে কমতে পারে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা, মনে করছেন তাঁরা। তবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হলে দরকার আরও বহু গবেষণা। আপাতত, আশার আলো দেখতে পেয়ে হইচই বিজ্ঞানীমহলে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -