Man in The Moon: লেখা হয়েছে শিশুদের ছড়াও, চাঁদের বুকে ও কার মুখ! ‘ম্যান ইন দ্য মুন’-কে নিয়ে রয়েছে লোককথা
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপন করল ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে একমাসের একটু বেশি সময় লাগবে তার। এই অভিযান ঘিরে প্রত্যাশা এবং উৎসাহ দুই-ই তুঙ্গে। কারণ চাঁদের বুকে জেগে আকা বৃহদাকার গহ্বর, খানাখন্দ পেরিয়ে গবেষণা চালাবে ‘চন্দ্রযান-৩’।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু এই খানাখন্দ এবং গহ্বরই চাঁদের রহস্য উদঘাটনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চাঁদের বয়স ৪৫৩ কোটি বছর বলে ধরা হলেও, চন্দ্রপৃষ্ঠের বয়স আরও ২০ কোটি বছর বেশি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রপৃষ্ঠের গহ্বরগুলি থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৪৫৩ কোটি বছর আগে নবজাতক পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষ বাধলে পাথর, ধুলো ছিটকেই তৈরি হয় চাঁদ। তাই সেই শিলা, ধুলোর সঙ্গে চাঁদের বয়সের মধ্যে ফারাক রয়েছে।
আর এই রহস্য উদঘাটনে যে গহ্বরগুলির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘ম্যান ইন দ্য মুন’। ‘ম্যান ইন দ্য মুন’ আসলে চাঁদের বুকে অবস্থিত সমুদ্রসমান গহ্বর, কৃষ্ণবর্ণ ওই গহ্বরগুলিকে চাঁদের কলঙ্ক বলে উল্লেখ করি আমরা।
কৃষ্ণবর্ণ ওই চন্দ্রগহ্বরগুলিকে ‘মারিয়া’ বলে উল্লেখ করেন বিজ্ঞানীরা, যা আসলে জমাট বেঁধে থাকা লাভা এবং ব্যাসল্ট শিলায় পরিপূর্ণ। কাল্পনিক রেখা দিয়ে গহ্বরগুলিকে সংযুক্ত করলে মানুষের মুখের আকার ফুটে ওঠে, চোখ-নাক-মুখ ফুটে ওঠে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে বৃহদাকার চন্দ্রগহ্বরগুলিকে কাল্পনিক রেখা দ্বারা সংযুক্ত করলে ‘ম্যান ইন দ্য মুন’-এর চেহারা ফুটে ওঠে। দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে ওই মুখাবয়ব আবার উল্টো হয়ে ধরা দেয়।
এই ‘ম্যান ইন দ্য মুন’ নিয়ে হাজারো লোককথাও রয়েছে। ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে একসময় প্রচলিত ছিল যে, পড়শির বাড়িতে চুরির দায়ে এক ব্যক্তিকে চাঁদে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তাঁরই মুখ দেখা যায় চাঁদের দিকে তাকালে।
জার্মানির উপকূল এলাকার মানুষজনের বিশ্বাস, জোয়ার-ভাঁটার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে ‘ম্যান ইন দ্য মুন’-এর। তাঁদের মতে, চাঁদের বুকে এক দৈত্যের বাস রয়েছে। নিজের মুখ থেকে সে-ই পৃথিবীতে জল ঢালে, তা থেকেই জোয়ার আসে নদীতে।
নরওয়েতে আবার প্রচলিত রয়েছে যে, এক ব্যক্তি দুই শিশুকে অপহরণ করে চাঁদে নিয়ে যায়। তাদের দিয়ে জল তোলানোর কাজ করায়। এই কাহিনী থেকেই পরবর্তী কালে ‘জ্যাক অ্যান্ড জিল’ ছড়ার উৎপত্তি ঘটে।
দক্ষিণ গোলার্ধে ‘ম্যান ইন দ্য মুন’ উল্টো ভাবে আবির্ভূত হয়, যা দেখে খরগোশের মতো মনে হয়। চিনের মানুষ জনের মতে, ওই খরগোশ আসলে অমৃত পিষে চলেছে, যা চন্দ্রদেবী চাঙ্গিকে উৎসর্গ করা হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -