Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Science News: উপর-নীচ, উত্তর-দক্ষিণ রয়েছে, নাকি মহাবিশ্ব আসলে দিকশূন্যপূর, জ্যোতির্বিজ্ঞান যা বলছে...
মাথার উপর খোলা আকাশ। পায়ের নীচে মাটি। বিজ্ঞান যদিও বলছে, পৃথিবীর উপরিতলে বসবাস আমাদের, তবে উপর-নীচ বলতে নিজস্ব ধারণা রয়েছে আমাদের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু মহাশূন্যের ক্ষেত্রেও কি উপর-নীচ বলে কিছু রয়েছে? এখনও পর্যন্ত মহাশূন্য থেকে যে সব ছবি-ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে নভোচারীদের কার্যতই শূন্যে ভেসে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। খাওয়া-দাওয়া, গল্পগাছা সবই ভেসে থাকতে থাকতে।
তাই আমরা যে অর্থে উপর-নীচ বা উত্তর-দক্ষিণ বুঝি, মহাশূন্যে সেই সব তত্ত্ব কার্যকর নয় বলেই ধারণা জন্মেছে এতকাল ধরে। আপাত ভাবে তা সত্য হলেও, অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে, মনুষ্যসৃষ্ট তত্ত্বের নিরিখে দিক নির্ধারণ করা সম্ভব বলে মত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের।
পৃথিবীর মতো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনেও মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভূত হয় বলে মত বিজ্ঞানীদের, যা কিনা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের চার মূল শক্তির মধ্যে অন্যতম। বাকি তিনটি হল,দ্য উইক ফোর্স, দুর্বল পারমাণবিক মিথস্ক্রিয়াও বলা হয়, অণু-পরমাণুর ক্ষয় হয় এর দ্বারা।
তৃতীয়টি হল তড়িৎচুম্বকীয় শক্তি বা লরেনৎস ফোর্স এবং চতুর্থটি হল, শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চেয়েও লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গুণ বেশি শক্তিশালী।
ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর জ্যোতির্পদার্থবিদ সঞ্জনা কার্টিসের মতে, পদার্থবিদদের কাছে উপর-নীচ বলে ব্যাতিক্রমী কোনও ভাবনা হয় না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যে দিকে কোনও বস্তুকে টানছে, তাকেই নীচ বলে ধরা হয়। তার উল্টোদিকটিকে ধরা হয় উপর বলে।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনেও মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভূত হয়। যে কারণে নিজেদের হালকা বলে মনে হলেও, সেখানেও ভেসে বেড়ানোর গতি কিন্তু অধোমুখেই হয়। অর্থাৎ নীচের দিকেই ক্রমশ নেমে আসেন নভোচারীরা। পড়ে না যাওয়ার জন্য বাঁধা থাকে দড়ি। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিই এর জন্য দায়ী।
সে ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনটি শূন্যে ভেসে থাকে কী করে, প্রশ্ন উঠতেই পারে। এরও জবাব দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, এর জন্য দায়ী ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের গতিবেগ। গতির অপকেন্দ্র বলই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনকে পৃথিবী থেকে দূরে ঠেলতে থাকে, যে গতি মাধ্যাকর্ষণ টানের সমানই থাকে প্রায়। এই ভারসাম্যকে বলা স্থিতিশীল কক্ষপথও বলা হয়।
সমান গতিতে বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকা বস্তুর উপর অভিকেন্দ্র বলের সমান এবং বিপরীতমুখী একটি বল কার্যকর হলে, তাকেই বলে অপকেন্দ্র বল বা কেন্দ্রবিমুখী বল। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন সেই কারণেই নীচের দিকে ধাবিত হয় না।
পদার্থবিদ্যার এমন অনেক দিক রয়েছে, যা সাধারণ ভাবে মানুষের বোধগম্য হয় না। সাধারণ জীবনে সেগুলি উপলব্ধিও করতে পারি না আমরা। কিন্তু দিনরাত এ নিয়ে গবেষণা করে এমন এর ব্যাখ্যা বের করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -