ERS-2 Satellite: মানবজাতির সেবায় মহাশূন্যে ৩০ বছর, প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দেহত্যাগ এই কৃত্রিম উপগ্রহের
নয় নয় করে মহাকাশে তিন দশক অতিক্রম। কার্যক্ষমতা চলে গিয়েছিল আগেই। শরীরে ভর করেছিল বার্ধক্য। পৃথিবীর আকাশে ঢুকেই দেহ রাখল কৃত্রিম উপগ্রহ। ছবি: ESA.
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্রশান্ত মহাসাগরের উপর দেহ রাখল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ERS-2 কৃত্রিম উপগ্রহ। বুধবার মাঝ আকাশেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ২ হাজার ২৯০ কেজি ওজনের কৃত্রিম ওই উপগ্রহটি। ছবি: ESA.
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, আলাস্কা এবং হাওয়াইয়ের মধ্যে, প্রশান্ত মহাসাগরের উপর পুড়ে ছাই হয়ে যায় ERS-2. প্রশান্ত মহাসাগরের জলে তার ধ্বংসাবশেষও খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনও। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৫ সালে উৎক্ষেপণ হয় ERS-2 কৃত্রিম উপগ্রহটির। পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল সেটি। ২০১১ সালে অবসরগ্রহণ করে। ছবি: ESA.
মহাকাশে যে ভাবে মৃত মহাকাশযান এবং কৃত্রিম উপগ্রহের স্তূপ জমতে শুরু করেছে, তাতে সাফাই অভিযান শুরু হয়েছে। এক এক করে সেগুলিকে নামিয়ে আনা হচ্ছে। ছবি: ESA.
গত ১২ বছর ধরে এক পা এক পা করে পৃথিবীতে ফিরছিল ERS-2 কৃত্রিম উপগ্রহটিও। শেষ পর্যন্ত বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে পৌঁছে, দেহ রাখে সেটি। ছবি: ESA.
পৃথিবী থেকে ৫৭৩ কিলোমিটার উপরে থাকা অবস্থাতেই জ্বালানি ফুরিয়ে যায় ESA-2 কৃত্রিম উপগ্রহের। তবে নিজের কার্যকালে, সেটি সবচেয়ে উন্নত কৃত্রিম উপগ্রহ হিসেবে গন্য হতো। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে সে। বায়ুমণ্ডলের গঠন থেকে সাগর-মহাসাগর নিয়েও খুঁটিনাটি তথ্য সামনে আনে। ছবি: ESA.
এ বছর এমন বহু মহাকাশ আবর্জনাকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশকারী মহাকাশযানের অবশিষ্টাংশগুলি সাধারণত ১ মিটার আয়তনের হয়। সেই নিরিখে ERS-2 আকারে অনেকটাই বড় ছিল। ছবি: ESA.
এর আগে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে নেমে আসে চিনের চারটি কৃত্রিম উপগ্রহ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ গুয়াংশি প্রদেশে বসতি এলাকাতেই ভেঙে পড়ে। ২০২১ এবং ২০২২ সালে ইলন মাস্কের SpaceX সংস্থার রকেট অস্ট্রেলিয়ায় ভেড়া প্রতিপালন কেন্দ্রের উপর ভেঙে পড়ে। ছবি: ESA.
মৃত কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঝুঁকি নেই বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, পৃথিবীর উপরিস্থল মোটামুটি ভাবে জলভাগ দ্বারাই গঠিত। মানুষের বসবাস নেই সেখানে। ছবি: ESA.
পাশাপাশি, বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে মাটি ছোঁয়ার আগে শূন্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেগুলি। তাই বজ্রপাতে মৃত্যুর চেয়েও পৃথিবীতে নেমে আসা কৃত্রিম উপগ্রহের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে দাবি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির।যদিও যে পরিমাণ আবর্জনা জমেছে মহাকাশে, তাতে সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব কি না, প্রশ্ন রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -