Science News: সৌরজগতের বাইরে আস্ত মহাসাগর! বিজ্ঞানীদের নজরে এক্সোপ্ল্যানেট K2-18 b
আমাদের সৌরজগতের বাইরেও থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। তাই সূর্য় ন, অন্য নক্ষত্রগুলিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে যে সমস্ত এক্সোপ্ল্যানেট, সেগুলির উপরও নজরদারি চালানো হয়। আর সেই নজরদারিতেই এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএক্সোপ্ল্যানেট K2-18 b গোড়া থেকেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের উদ্রেক করে আসছে। তাই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দীর্ঘ দিন ধরেই তার উপর নজরদারি চালিয়ে আসছিল। তাতেই K2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটে কার্বনের অণু থাকার প্রমাণ মিল। শুধু তাই নয়, ওই এক্সোপ্ল্যানেটের বুকে মহাসাগরও রয়েছে বলেও উঠে এল গবেষণায়।
আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রাণের খোঁজ করতে গিয়ে গোড়া থেকেই k2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটের উপর নজর ছিল বিজ্ঞানীদের। এর আগে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপের নজরদারিতে সেখানে মহাসাগর থাকার ইঙ্গিত মেলে।
ওই এক্সোপ্ল্যানেটে জল কী আকারে রয়েছে, তা নিয়ে যদিও এখনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। বিজ্ঞানীদের কারও কারও মতে, পৃথিবীর মতোই K2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটের বুকে সাগর—মহাসাগরে জল থৈ থৈ করছে। সাগর-মহাসাগর থাকার কথা মেনে নিলেও, তা আসলে ‘Hycean’ বলেও মনে করেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
ইংরেজিতে Hydrogen এবং ocean, এই দুই শব্দ মিলেই উৎপত্তি ‘Hycean’ শব্দটির। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে আকারে বড় হয় সাধারণত। বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেনের মোটা আস্তরণে ঢাকা থাকে, যা তরল মহাসাগর ধারণে সক্ষম।
K2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটের বুকে মহাসাগর রয়েছে বলে ধরা পড়েছে। পৃথিবী থেকে এক্সোপ্ল্যানেটটির দূরত্ব ১২০ আলোকবর্ষ। ব্যাসার্ধ পৃথিবীর চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বড়। নয়া গবেষণায় ওই এক্সোপ্ল্যানেটে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে অ্যামোনিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।এক্সোপ্ল্যানেটটির জল থৈ থৈ মহাসাগর রয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের একাংশের।
ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন জানিয়েছেন, প্রাণের খোঁজ করতে গিয়ে এতদিন সাধারণত ছোট আকারের, পাথুরে এক্সোপ্ল্যানেটগুলিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে আকারে বড় ‘Hycean’-এর বায়ুমণ্ডল গবেষণার জন্য অনেক বেশি সহায়ক।
K2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটির ভর পৃথিবীর চেয়ে আট গুণেরও বেশি। নিজের নক্ষত্র থেকে নিরাপদ দূরত্বেই অবস্থিত। তাপমাত্রা অত্যধিক বেশিও নয়, আবার কমও নয়। ফলে তরল জলধারণের উপযোগী।
এর পাশাপাশি, K2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলে ডিমিথাইল সালফাইডের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীর বুকে এর সৃষ্টি হয় ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন থেকে। তাই বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে সাবধানী পদক্ষেপই করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ যদিও বা K2-18 b এক্সোপ্ল্যানেটের বুকে জল থৈ থৈ মহাসাগর থাকে, বায়ুমণ্ডলে কার্বণের অণু থাকে, তাই বলে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা বাধ্যতামূলক নয় মোটেই। শুধুমাত্র প্রাণধারণের উপযোগী পরিবেশই থাকতে পারে সেখানে। কারণ এক্সোপ্ল্যানেটের ভিতরের অংশে যদিও নেপচুনের উচ্চচাপ যুক্ত মতো বরফ থাকে, বায়ুমণ্ডলের আচ্ছাদন অত্যন্ত পাতলা। তাই সাগরের জলের তাপমাত্রা বেশি হতে পারে এবং সামুদ্রিক জীবের প্রাণধারণের উপযোগী না হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -