Science News: এভারেস্টের চেয়ে পাঁচগুণ উঁচু পর্বত, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়ে বড় খাদ, পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে লালগ্রহ
মঙ্গলগ্রহকে বাসযোগ্য করে তুলতে যদিও বা সময় লাগে, সেখানে পর্যটন পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী প্রযুক্তি সংস্থা থেকে বিজ্ঞানীদের একাংশও। বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে পকেটের রেস্ত রয়েছে যাঁদের, তাঁরাই দর্শন পাবেন লালগ্রহের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appলালগ্রহে পা রাখার সুযোগ আসুক বা না আসুক, সেখানে কোন কোন জায়গাগুলি ঘিরে উঠতে পারে পর্যটন, তার সম্ভাব্য তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই, যার মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়গিরি থেকে গভীর খাদ এবং গহ্বর। ভবিষ্যতে ঝর্নাও নেমে আসতে পারে তার খাঁজ বেয়ে।
এই তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে Olympus Mons. গোটা সৌরজগতে এখনও পর্যন্ত যত আগ্নেয়গিরির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে গন্য হয় Olympus Mons.
থারসিস আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে অবস্থিত Olympus Mons. আমেরিকার অ্যারিজোনা প্রদেশের সমান আয়তন। উচ্চতা প্রায় ২৫ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর মাউন্ট এভারেস্টের থেকেও তিন গুণ বেশি উঁচু।
থারসিস আগ্নেয়গিরি Olympus Mons-এর গায়ে গায়েই অবস্থিত। ওই অঞ্চলে মোট ১২টি দৈত্যকার আগ্নেয়গিরি রয়েছে, সবমিলিয়ে ৪ হাজার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তার।
থারসিস আগ্নেয়গিরি Olympus Mons-এর গায়ে গায়েই অবস্থিত। ওই অঞ্চলে মোট ১২টি দৈত্যকার আগ্নেয়গিরি রয়েছে, সবমিলিয়ে ৪ হাজার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তার।
তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ আগ্নেয়গিরিই মৃত। কয়েকশো কোটি বছর আগে সেগুলি থেতে অগ্ন্যুৎপাত হতো বলে দাবি নাসা-র। ওই সমস্ত এলাকায় মাধ্যাকর্ষ শক্তিও অত্যন্ত দুর্বল।
শুধু আগ্নেয়গিরিই নয়, মঙ্গলের বুকে রয়েছে সুবিশাল খাদও। ভ্যালেস মারিনেরিজ তেমনই একটি খাদ, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার। সেই তুলনায় পৃথিবীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৈর্ঘ্য মাত্র ৮০০ কিলোমিটার।
ভ্যালেস মারিনেরিজ-এর সৃষ্টি নিয়ে নানা মত রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, থার্সিস আগ্নেয়গিরি অঞ্চল যখন গড়ে ওঠে, সেই সময়ই এই খাদের সৃষ্টি হয়। একসময় জ্বলন্ত লাভা বয়ে যেত, তাতে মাটির যে অংশ উপরের দিকে উঠে আসে, তার মাঝ বরাবর ফাটল ধরে খাদটির সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলগ্রহের উত্তর এবং দক্ষিণ মেরুও মন কাড়তে পারে ভ্রমণপিপাসুদের। শীতকালে এই মেরু অঞ্চলে কার্বন ডাই অক্সাইড ঘনীভূত হয়ে বরফের সঙ্গে হয়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে আবার বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত হয়।
গেল ক্রেটার এবং মাউন্ট শার্প লালগ্রহের অন্যতম আকর্ষণ। ২০১২ সালে কিউরিওসিটি রোভার এই গেল ক্রেটারে নামে। সেখানে একসময় জলের অস্তিত্ব ছিল বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণ মিলেছে। আপাতত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট শার্পের গা বেয়ে উঠছে কিউরিওসিটি রোভার। সেখানে একসময় একটি ঝর্নাও ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গেল ক্রেটার এবং মাউন্ট শার্প লালগ্রহের অন্যতম আকর্ষণ। ২০১২ সালে কিউরিওসিটি রোভার এই গেল ক্রেটারে নামে। সেখানে একসময় জলের অস্তিত্ব ছিল বলে ইতিমধ্যেই প্রমাণ মিলেছে। আপাতত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট শার্পের গা বেয়ে উঠছে কিউরিওসিটি রোভার। সেখানে একসময় একটি ঝর্নাও ছিল বলে জানা গিয়েছে।
মেডুসা ফসে লালগ্রহের বুকে একটি রহস্যময় জায়গা। সেখানে ভিনগ্রহী যান ভেঙে পড়ার প্রমাণ মিলেছে বলে শোনা যায় বেশ কয়েক বছর আগে। আমেরিকার চেয়ে আয়তনে পাঁচ গুণ বড় এই এলাকা লাভা জমে সৃষ্টি হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -