Science News: অন্য কোনও গ্রহ বলে মনে হতে পারে, পৃথিবীর বুকে রয়েছে এমনই কিছু জায়গা, না দেখলে বিশ্বাস হবে না
পৃথিবীর বাইরে ব্রহ্মাণ্ডের কোথায়, কী ঘটছে, তা নিয়ে অপার কৌতূহল রয়েছে। বিশেষ করে অন্য গ্রহগুলি আসলে দেখতে কেমন, পৃথিবীর সদৃশ কিছু সেখানে রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে জানতে আগ্রহী আমরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু মহাশূন্যের আলো আঁধারির জগতে নয়, এই পৃথিবীর বুকেই এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যা প্রচলিত ধারণার সঙ্গে ঠিক খাপ খায় না। বরং সেখানে পা রাখলে অন্য কোনও গ্রহে এসে পড়েছেন বলেই অনুভূতি হয় সকলের।
ফ্লাই গিজার, নেভাডা- আমেরিকার নেভাডায় মনুষ্যসৃষ্ট একটি জিওথার্মাল গিজার রয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলের খোঁজে বার বার ওই জায়গা খোঁড়া এবং বোজানো হয়। জল উঠে এলেও, সেই জল পান বা সেচকার্যের অনুপযুক্ত ছিল। কারণ ওই জলের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বার বার খোঁড়া এবং বোজানোর জন্য সেখানকার মাটি আলগা হয়ে যায়। ফলে উষ্ণ প্রস্রবণের ধারা বেরিয়ে আসতে থাকে। খনিজ জমে জমে লাল এবং হলুদের অদ্ভূত আস্তরণ লক্ষ্য করা যায় সেখানকার পাথরের গায়ে, যা তার উপস্থিতিকে মহাজাগতিক বস্তুর ন্যায় করে তুলেছে।
গ্র্যান্ড প্রিজম্যাটিক স্প্রিং, ইয়েলোস্টোন-আমেরিকার ইয়েলোস্টোন পার্কের উষ্ণ প্রস্রবণটিকে দেখলে নীহারিকা বলে বিভ্রম জাগে। সেটির ব্যাস ২০০ থেকে ৩৩০ ফুট। গভীরতা ১২১ ফুট প্রায়। ব্যাকটিরিয়া এবং থার্মোফিলিক শ্যাওলা জমে অদ্ভূত রামধনু রং ফুটে উঠেছে পাথরের গায়ে। মধ্যিখানে উষ্ণ জলের রং উজ্জ্বল নীল।
রেনবো মাউন্টেন, পেরু- তাপমাত্রার বৃদ্ধিতে ২০১৫ সালে প্রথম বার সমস্ত বরফ গলে যায়। তাতেই পেরুর ভিনিকুনকা পর্বতমালার আসল, রামধনু রং সামনে আসে। খাঁজে খাঁজে খনিজ জমেই ওই রং ফুটে উঠেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের।
ডেনাকিল ডিপ্রেশন, ইথিওপিয়া- একটি বা দু’টি নয়, তিন-তিনটি টেকটোনিক পাতের বিচ্যুতি ঘটে এর সৃষ্টি। উত্তর ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে সালফারের ঝরনা, লাভা, হ্রদ এবং জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার তাপমাত্রা প্রায় ১২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লেক হিলিয়ার, অস্ট্রেলিয়া- অস্ট্রেলিয়ার লেক হিলিয়ার জলের রং হাওয়াই-মিঠাইয়ের মতো গোলাপি। হেলোব্যাকটিরিয়া, শ্যাওলা এবং জীবাণুর জন্যই এমন রং। ডেড সি-র মতোই লবণাক্ত লেক হিলিয়ারের জল।
কেভ অফ ক্রিস্টালস, নাইকা, মেক্সিকো-ক্রিস্টালের বড় বড় স্তম্ভ দেখতে পাওয়া যায় কেভ অফ ক্রিস্টালসে। সেগুলি মূলত জিপসামের স্তম্ভ। গুহার ভিতরের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি। স্তম্ভগুলির বয়স হাজার হাজার বছর। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
দ্য ইডেন প্রজেক্ট, কর্নওয়াল, ইংল্যান্ড-পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন প্রতিরোধ এবং দীর্ঘমেয়াদি সময়ের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখার লক্ষ্য নিয়ে প্লাস্টিক এবং স্টিলে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গম্বুজগুলি। কৃত্রিম ভাবে এমন পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে মরুভূমি এবং সমতলের উদ্ভিদ পাশাপাশি বেড়ে উঠতে পারে।
আন্ডারওয়াটারর ওয়াটারফল, মরিশাস-ভারত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত মরিশাস। সেখানে স্বচ্ছ, নীল জলের নীচে ঝরনা রয়েছে বলে ঠাহর হয়, যা আসলে দৃষ্টিবিভ্রম। আসলে উপমহাদেশীয় মহীসোপান রয়েছে বলেই এমনটা দেখায়।
ড্রাগনস ব্লাড ট্রি, সোকোত্রা, ইয়েমেন- ছাতার মতো রৌদ্র থেকে ছায়া জোগায়। বাঁচায় বৃষ্টি থেকেও। গাছের আকৃতি সাধারণ এমনই হয়। কিন্তু ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপের ড্রাগনস ব্লাড ট্রি-র আকৃতি খানিকটা উল্টোনো ছাতার মতো। রুক্ষ, পাথুরে এলাকায় এই গাছ জন্মায়। নিজের শরীরে জল ধরে রাখে বহু বছর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -