Heaviest Black Hole Pair: ২৮০০ সূর্যের সমান ওজন, মহাশূন্যে খোঁজ মিলল অতি ভারী জোড়া কৃষ্ণগহ্বরের
একাকী নয়, মহাশূন্যে এবার পাশাপাশি অবস্থিত জোড়া কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান মিলল। ওই দুই কৃষ্ণগহ্বরের সম্মলিত ওজন এযাবৎকালীন সর্বাধিক, ২৮০০টি সূর্যের প্রায় সমান। -ফাইল চিত্র। ছবিk: NASA.
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appটেলিস্কোপে যে দৃশ্য চোখে পড়েছে, প্রযুক্তির সাহায্যে তা ফুটিয়ে তুলেছেন বিজ্ঞানীরা, যাতে রাতের আকাশে পাখির বাসার মতো দেখাচ্ছে দুই কৃষ্ণগহ্বরকে। ভিতর থেকে উজ্জ্বল আলোর ফোয়ারা ছুটছে। ছবি: The Astrological Journal.
মহাশূন্যে B2 0402+379 নামের যে ছায়াপথ রয়েছে, তার একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই দুই কৃষ্ণগহ্বর। কিন্তু ওজনে এতটাই ভারী তারা যে পরস্পরের সঙ্গে মিশে যাওয়া বা সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনা নেই অদূর ভবিষ্যতে। ছবি: পিক্সাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দু’টি কৃষ্ণগহ্বর পরস্পরকে প্রদক্ষিণ করতে চলেছে। তাদের মধ্যেকার দূরত্ব ২৪ আলোকবর্ষ। মহাশূন্যে এযাবৎ যত কৃষ্ণগহ্বরের হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এই দুই কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যেকার দূরত্বই সবচেয়ে কম। ছবি: National Science Foundation.
গত ৫ জানুয়ারি Astrophysical জার্নালে এ নিয়ে বিশদ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এত কম দূরত্ব হওয়া সত্ত্বেও, কৃষ্ণগহ্বর দু’টি কেউ কারও দিকে এগিয়ে আসছে না।
বরং রেখা বরাবর যেন আটকে গিয়েছে কৃষ্ণগহ্বর দু’টি। বিগত ৩০০ কোটি বছর ধরে একই সমীকরণ রয়েছে তাদের মধ্যে। তবে এমন কতদিন চলবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিজ্ঞানীরা। মহাজাগতিক কোনও দুর্ঘটনার জেরে দুই কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। ছবি: ফ্রিপিক।:
গবেষণাপত্রের সহ-লেখক রজার রোমানি জানিয়েছেন, সাধারণত হালকা ওজনের কৃষ্ণগহ্বরগুলিকে চারপাশের নক্ষত্র এবং পারস্পরিক ভর ধরে রাখে। এক্ষেত্রে কৃষ্ণগহ্বর দু’টি ওজনে এতটাই ভারী যে পারিপার্শ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন পড়েনি। -ফাইল চিত্র। ছবিk: NASA.
সাধারণত বৃহদাকার নক্ষত্রের সংঘর্ষের জেরেই কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টি হয়। এই সময়, আশেপাশে যা থাকে, সব কিছু শুষে নেয় তারা, গ্যাস, ধুলো, অন্য নক্ষত্র এমনকি ছোট কৃষ্ণগহ্বরও।কিন্তু প্রথম কৃষ্ণগহ্বরটির সৃষ্টিরহস্য ঘোচেনি আজও। -ফাইল চিত্র। ছবিk: NASA.
বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, সৃষ্টির শুরুতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঠান্ডা গ্যাসের মেঘ, ধুলো একত্রিত হয়ে নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়। আকারে এতই বড় ছিল সেগুলি যে কিছু সময় পরই ধ্বংস হয়ে যায়। সেই থেকেই কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম। ছবি: National Science Foundation.
নয়া এই জোড়া কৃষ্ণগহ্বরের হদিশ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের। Gemini North Telescope ঢের আগে মহাকাশে নজরদারি চালিয়ে যে তথ্য সংগ্রহ করে, তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই হদিশ মেলে। -ফাইল চিত্র। ছবিk: NASA.
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -