Inventions by India: লজেন্স, শ্যাম্পু, দাবা, ভারত না থাকলে যে যে জিনিস থেকে বঞ্চিত থাকত পৃথিবী
উন্নত দেশগুলির থেকে এখনও পিছিয়ে থাকলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছে ভারত। প্রাচীন কাল থেকে এখনও পর্যন্ত এমন কিছু জিনিসের আবিষ্কারক ভারত, যা না পেলে একদূর এগোতে পারত না সভ্যতা। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএকাধিক বিষয়ে পশ্চিমি দুনিয়ার থেকে এগিয়ে ছিল ভারত। বিজ্ঞান থেকে গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান এমনকি ক্রীড়া, ভারতের দেওয়ার একাধিক উপহারে ভর করেই আজ টিকে রয়েছে গোটা পৃথিবী। ছবি: পিক্সাবে।
ভারতেই প্রথম চোখের ছানির অস্ত্রোপচার হয়। প্রাচীন ভারতে ছানির অস্ত্রোপচার প্রচলিত ছিল। বাঁকানো সূচের মাধ্যমে ছানি বের করে আনা হতো। তার পর গরম ঘি মাখিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হতো চোখে। একান্ত প্রয়োজন না হলে যদিও এই পদ্ধতিতে ছানি কাটা উচিত নয় বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন সুশ্রুত। ছবি: পিক্সাবে।
শ্যাম্পুর আবিষ্কারও এই ভারতেই। মুঘল যুগে প্রথম শ্যাম্পুর আবিষ্কার হয়। হিন্দি শব্দ চাম্পো থেকে শ্যাম্পুর আগমন। মুঘল যুগে ক্ষার, প্রাকৃতিক তেল এবং সুগন্ধী সংযোগে বিশেষ মিশ্রণ তৈরি করে মাথা ধোয়ার চল ছিল। পরে বিহার নিবাসী বাঙালি ব্যবসায়ী শেখ দীন মহম্মদ ব্রিটেনের বাজারে শ্যাম্পু নিয়ে হাজির হন। ছবি: পিক্সাবে।
বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের উৎপত্তিও ভারতেই। জৈন ধর্মের সূচনাই ঘটে ভারতে। বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি ভারতে হলেও, পরবর্তীতে এশিয়ার অন্য দেশগুলিতে আরও ছড়িয়ে পড়ে এবং তার বিবর্তন ঘটে। ছবি: পিক্সাবে।
লজেন্স বা মিষ্টি স্বাদের ক্যান্ডির আবিষ্কারকও ভারত। আখের রসকে জমাটি করে লজেন্সের সূচনা গুপ্ত যুগে। পরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের হাত ধরে লজেন্স পৌঁছয় চিনে। প্রাচীন চিনা নথিতেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভারতে গিয়ে লজেন্স তৈরির পদ্ধতি শেখার কথা লেখা রয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
কাশ্মীরি উলের সঙ্গে পৃথিবীর পরিচয় ঘটে ভারতের দৌলতেই। ১৫ শতকে কাশ্মীরের তৎকালীন শাসক জইন-উল-আবিদিন মধ্য এশিয়া থেকে শ্রমিক এনে কাশ্মীরি উলের উপর নির্ভর শিল্প গড়ে তোলেন। তারও আগে খ্রিস্টপূর্ব তিন শতকের লেখালেখিতেও কাশ্মীরে উলের তৈরি শালের উল্লেখ পাওয়া যায়। ছবি: পিক্সাবে।
দাবা খেলার উৎপত্তিও এই ভারতেই। গুপ্ত যুগে রাজারা দাবা খেলে সময় কাটাতেন। সেই সময় খেলার নাম ছিল চতুরঙ্গ। পশ্চিম এশিয়া থেকে বাণিজ্য করতে আসা লোকজন মারফত ওই খেলা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: পিক্সাবে।
লুডোয় সাপ-সিঁড়ি খেলায় অভ্যস্ত আমরা সকলেই। এই খেলার উৎপত্তিও ভারতেই। সেই সময় এই খেলা ‘ক্রীড়াপত্রম’ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে আরও বিবর্তন ঘটে। ছবি: পিক্সাবে।
ভারতের তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম কলা এবং বিজ্ঞান চর্চা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ অধ্যাপক এবং ১০ হাজারের বেশি পড়ুয়া ছিলেন। লেকচার হল ছিল ৩০০টি। জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রও ছিল তক্ষশিলা। ০-এর আবিষ্কারও ভারতেই। ছবি: পিক্সাবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -