Solar Eclipse: রাহুর গ্রাস থেকে বন্দিদশা, বৈজ্ঞানিক কার্যকারণের বাইরে সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে কল্পকথাও
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। চাঁদের ছায়া সূর্যের উপর পড়াতেই এই এই সূর্যগ্রহণ, যা দিনের বেলাতেই অন্ধকারে ঢেকে দেবে পৃথিবীকে। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই সূর্যগ্রহণকে ঘিরে নানা বিশ্বাস রয়েছে। অশুভ শক্তির সঙ্গে গ্রহণের সংযোগ খুঁজে পান কেউ। কোথাও আবার এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আধ্যাত্মিকতা। ছবি: পিক্সাবে।
চিন: প্রায় ৪০০০ বছর আগের প্রাচীন চিনা পুঁথিতে সূর্যগ্রহণের উল্লেখ মেলে। প্রাচীন চিনা নাগরিকদের বিশ্বাস ছিল, গ্রহণের সময় সূর্যগে গিলে নেয় ড্রাগন। থালা-বাসন, বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ড্রাগন তাড়ানোর উদাহরণও মেলে প্রাচীন চিনা পুঁথিতে। ছবি: পিক্সাবে।
চাঁদের ছায়া সরে যেতেই সূর্য আবার স্বরূপে আবির্ভূত হয়। প্রাচীন চিনে একে অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয় হিসেবে দেখা হতো। সেই নিরিখে চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে তেমন উৎসাহ ছিল না চিনে। খ্রিস্টপূর্ব ৯০-এর আশেপাশের পুঁথিতে চন্দ্রগ্রহণের উল্লেখ মেলে, যাকে সাধারণ ঘটনা বলেই উল্লেখ করা হয়। ছবি: পিক্সাবে।
ভারত: প্রাচীন ভারতীয় পুরাণে সূর্যগ্রহণের যে বর্ণনা রয়েছে, তা হল, সমুদ্র মন্থন করে তুলে আনা অমৃতের ভাগ শুরু হলে রাহু নারীর বেশ ধরে দেবতাদের মধ্যে ঢুকে পড়েন। নারায়ণের চোখ এড়িয়ে গেলেও, সূর্য এবং চন্দ্র সেটি দেখে ফেলেন। বিষয়টি জানতে পেরে নারায়ণ রাহুর শিরচ্ছেদ করেন। ছবি: পিক্সাবে।
কিন্তু তত ক্ষণে অমৃতে চুমুক দিয়ে ফেলেছেন রাহু। ফলে তাঁর মাথা অমর হয়ে মহাকাশে ঘুরতে থাকে। সেই থেকে সূর্য এবং চন্দ্রের উপর প্রচণ্ড রাগ তাঁর। সুযোগ পেলেই তাই গিলে নেন। কিন্তু গলা এবং শরীর না থাকায় আবারও বেরিয়ে আসেন সূর্য। ছবি: পিক্সাবে।
দক্ষিণ আমেরিকা: প্রাক কলম্বীয় সাম্রাজ্য Inca. প্রাচীন কালে সেখানকার মানুষ সূর্যকে দেবতা রূপে পুজো করতেন। গ্রহণকে তাঁরা সূর্যদেবতার রাগ এবং অসন্তোষ হিসেবে দেখতেন। গ্রহণের পর তাই বলি দেওয়ার চল ছিল। ছবি: পিক্সাবে।
শুধু তাই নয়, গ্রহণের সময় সেই সময়কার মানুষ জন উপোসও করতেন। গ্রহণের সময় এবং গ্রহণ কেটে যাওয়ার পর রাজা ওই দিন কোনও কাজ করতেন না। ছবি: পিক্সাবে।
আদি আমেরিকা: চিনারা যেমন ভাবতেন ড্রাগন সূর্যকে গিলে ফেলছে, আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের মত ছিল, একটি কালো রঙের কাঠবেড়ালি গ্রহণের জন্য দায়ী। তাঁরাও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কাঠবেড়ালি তাড়ানোর চেষ্টা করতেন। পাশাপাশি কথিত রয়েছে যে, রোদে গা পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য Tcikabis নামের একটি বালক সূর্যের উপর প্রতিশোধ নিতে যায়। সূর্যকে ফাঁদে ফেলতে সফল হয় সে। কিন্তু একটি ইঁদুর জাল কেটে সূর্যকে রক্ষা করে। ছবি: পিক্সাবে।
পশ্চিম আফ্রিকা: পশ্চিম আফ্রিকার প্রাচীন পুঁথি অনুযায়ী, মর্ত্যলোকে মানুষের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব, হানাহানির আঁচ সূর্য এবং চন্দ্রের গায়েও পড়ে। তাঁরাও পরস্পরের বিরুদ্ধে লডা়ই শুরু করেন, যা থেকে গ্রহণের সৃষ্টি। তাই শান্তিস্থাপনে গ্রহণের সময় পুরনো শত্রুতা মিটিয়ে নিতেন সকলে। ছবি: পিক্সাবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -