Satellite Refueling: মহাশূন্যে এবার জ্বালানির ডিপো? মহার্ঘ হলেও হবে সাশ্রয়, বলছেন বিজ্ঞানীরা
মাঝ রাস্তায় তেল ফুরিয়ে গেলে বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। গাড়ি না হয় তাও ঠেলে পেট্রোল পাম্পে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু মহাশূন্যে তীব্র গতিতে ছুটে চলা কৃত্রিম উপগ্রহের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। ছবি: ফ্রিপিক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমহাশূন্যে ঘণ্টায় প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটে বেড়ায় কৃত্রিম মহাকাশযানগুলি। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার অর্থ মহাশূন্যে মৃত অবস্থায় ভাসতে থাকে তারা। আবর্জনা হিসেবেই গৃহীত হয় সেই অবস্থায়। ছবি: পিক্সাবে।
মহাকাশে এমন আবর্জনার সংখ্যা লাগাতার বাড়ছে বলে সম্প্রতি উদ্বেগও ধরা পড়ে। কোন উপায়ে জঞ্জাল সাফ করা যায়, সেই নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষাও চলছে। সেই কাজেই এবার কিছুটা হলেও এগনো গেল। ছবি: পিক্সাবে।
আলাদা করে আবর্জনা সাফও করতে না হয়, আবার মৃত কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মধ্যে প্রাণও সঞ্চার করা যায়, এমন উপায় বের করার চেষ্টা-চরিত্র চলছে। ছবি: ফ্রিপিক।
কলোরাডোর Orbit Fab সংস্থা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২০২৫ সালের মধ্যে মহাশূন্যে পড়ে থাকা আবর্জনার সমান কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এর আওতায় মহাশূন্যেই জ্বালানি ভরার ব্যবস্থা করছে তারা। ছবি: ফ্রিপিক।
জানা গিয়েছে, জ্বালানি শেষ হতে চলেছে, এমন ইঙ্গিত পেলে আগেভাগে অর্ডার দিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে রকেটে ব্যবহৃত Hydrazine জ্বালানি মহাকাশেই সরবরাহ করবে তারা। তবে প্রতি ১০০ কেজিতে তার দাম পড়বে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। ছবি: পিক্সাবে।
এই পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবী এবং সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কক্ষপথে জ্বালানির ডিপো গড়ে তুলতে চায় Orbit Fab. মহাশূন্যে জ্বালানি শাটলও স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে তাদের, যাতে আসা-যাওয়ার পথে জ্বালানি ভরিয়ে নিতে পারে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং রকেটগুলি। ছবি: ফ্রিপিক।
এর জন্য রকেট এবং কৃত্রিম উপগ্রহগুলিতে যে চিরাচরিত ফিল অ্যান্ড ড্রেন ভালভ রয়েছে, তার বদলে Rapid Attachable Fluid Transfer Interface সংযুক্ত করতে চায় তারা। ছবি: ফ্রিপিক।
এই সংক্রান্ত একটি নকশাও প্রকাশ করেছে তারা। ২০২১ সালে সেই নকশা প্রকাশ করে তারা। ১০০টির বেশি বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহে ইতিমধ্যেই সেই প্রযুক্তির প্রয়োগ হয়েছে। অন্তত Orbit Fab তেমনই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তবে এই মুহূর্তে মহাকাশে যে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি রয়েছে, তাতে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্ভব নয় এখনই। ছবি: ফ্রিপিক।
এ নিয়ে ব্রিটেনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মহাকাশ বিভাগে কর্মরত রে ফিল্ডিং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার মতোই কাজ করে এই প্রযুক্তি। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ছবি: ফ্রিপিক, পিক্সাবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -