Science News: চাঁদের মাটিতে গ্রানাইট শিলার সম্ভার! মাটি খুঁড়ে দেখতে অভিযান শীঘ্রই
চাঁদের মেরু অঞ্চল বরফে ঢাকা বলে প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যেই। তাই পৃথিবীর উপগ্রহের বুক চিরে কোনও কালে নদী প্রবাহিত হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএমনকি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত 'ঝড়ের মহাসাগর' ওশিয়ানাস প্রোসেলারামের ছবিও সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। চাঁদের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ঘন কালো একটি অংশ সেটি, যা চন্দ্রপৃষ্ঠে হদিশ পাওয়া বৃহত্তম সমুদ্রের স্মৃতিচিহ্ন বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
এবার চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের সপক্ষে আরও জোরাল প্রমাণ সামনে এল। চাঁদের মাটির নীচে, প্রায় ৫০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে গ্রানাইট শিলা রয়েছে বলে মিলল ইঙ্গিত।
গত ৫ জুলাই ‘নেচার’ পত্রিকায় এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর বাইরে আবিষ্কৃত বৃহত্তম গ্রানাইট শিলার কাঠামো সেটি।
এই আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অফুরন্ত জলের জোগান না থাকলে গ্রানাইট শিলা গড়ে ওঠে না। গ্রানাইট শিলার সৃষ্টিতে মূল উপাদানই হল জল।
ছয় এবং সাতের দশকে ‘অ্যাপোলো’ মহাকাশযানে চেপে মহাকাশচারীরা যখন চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেন, চাঁদের মাটিতে গ্রানাইট শিলার আধিক্য রয়েছে বলে সেই সময়ই জানতে পারেন তাঁরা। চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে তাই দেখা শুরু হয় গ্রানাইট শিলাকে।
মূলত মাটির উপরিভাগ গঠিত হয় ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে। মাটির ভিতরের অংশে থাকে গ্রানাইট শিলা। কিন্তু বছরের পর বছর তাপমাত্রা, চাপের ফলে ব্যাসল্ট গলে গ্রানাইটে পরিণত হয়।
ব্যাসল্টের গ্রানাইটে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে জলের ভূমিকা অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। টেকটোনিক পাতের নড়াচড়ার ফলে ব্যাসল্ট শিলার অধোগমন ঘটে। সেখানে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার ফলে গলতে শুরু করে এবং জল তাতে লবণের ভূমিকা পালন করে।
চাঁদের গর্ভে টেকটোনিক পাতের সন্ধান মেলেনি এখনও পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত স্বল্প পরিমাণ জল থাকার ইঙ্গিতই পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই ৫০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে গ্রানাইট শিলা গড়ে উঠল কোন উপায়ে, ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
২০২৭ সাল নাগাদ চাঁদে Lunar-VISE অভিযান চালাবে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. গ্রানাইট নিয়ে গবেষণা চালাবে তারা। চাঁদের মাটির গঠন নিয়ে চলবে গবেষণা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -